বাজেট ২০২০: জিএসটি করের হার হ্রাস,পরিবারে সঞ্চয় হচ্ছে ব্যয়ের ৪ শতাংশ
বাজেট ২০২০: জিএসটি করের হার হ্রাস,পরিবারে সঞ্চয় হচ্ছে ব্যয়ের ৪ শতাংশ
ভারতীয় অর্থনীতির চলতি মন্দার কারণ হিসেবে যে দুটি বিষয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা, তা হল জিএসটি এবং নোটবন্দি।
জিএসটি রিটার্ন করার জটিল পদ্ধতি অনেক সমস্যা ডেকে আনছে বলে অনেকেরই মত। আগামী এপ্রিল মাস থেকে জিএসটি রিটার্নের সহজ পদ্ধতি চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর পাশাপাশি তিনি এও জানান যে পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) হার কমানোর ফলে গ্রাহকদের বার্ষিক এক ট্রিলিয়ন ডলার সুবিধা হয়েছে, যার ফলে পরিবারগুলি তাদের মাসিক ব্যয়ের ৪% এর বেশি সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে।
তরুণদের আকাঙ্খাকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণ শুরু করার প্রথমেই জানান, ২০২০–২১ সালের অর্থবর্ষের বাজেট একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের চেষ্টা করে যা দুর্বল ও অক্ষমদের যত্ন নেয়। তিনি জানান, আয় বৃদ্ধি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের প্রয়োজন হবে যা নিশ্চিত করবে যে যুবকরা উপকৃতভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। শুক্রবার অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে ২০২০–২১ সালে ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬–৬.৫%। সরকারকে আবেদন করা হয়েছে যে অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য তার সংস্কারের পদক্ষেপগুলিকে যত শীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়িত করার জন্য। চলতি অর্থবছরের জন্য, পরিসংখ্যান মন্ত্রক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় বছরের সর্বনিম্ন ৫% হ্রাস করবে বলে অনুমান করেছে।
অর্থমন্ত্রী সীতারমন তাঁর বাজেট ভাষণে বলেন, 'জিএসটি পরিপক্ক হয়েছে এবং একসঙ্গে অসংখ্য কর জমা দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সংহত করেছে এবং অর্থনীতির আনুষ্ঠানিককরণে সহায়তা করেছে। প্রতিটি পণ্যের উপর কার্যকর করের হার হ্রাস পেয়েছে।’ এর পাশাপাশি মন্ত্রী এও জানান যে জিএসটি করের হার ১০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় পরিবারগুলি তাঁদের ব্যয়ের ৪ শতাংশ সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছে।