আবার একদলে মেসি-ইব্রা! আছেন রোনাল্ডিনহোও - জায়গা হল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর
জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ তার স্বপ্নের একাদশ বেছে নিলেন। তাঁর দলে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি।
বয়স তাঁর ৩৭। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ছেড়ে দিয়েছেন তাও বেশ কয়েক বছর হতে চলল। তবু গোল-খিদের মতোই জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচের অমোঘ আকর্ষণী শক্তিও এতটুকু কমেনি । তিনি যাই করেন তাই খবর। সম্প্রতি তিনি তাঁর সর্বকালের সকেরা স্বপ্নের ফুটবল একাদশ বেছে নিয়েছেন। আর সেই নিয়েই এখন জোর আলোচনা চলছে ফুটবল জগতে।
আধুনিক যুগে সেরা ফুটবলারের লড়াইটা যে দুইজনের মধ্যে তাদের মধ্যে মেসিকে তাঁর দলে নিলেও বাদ পড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো! এর কারণ অবশ্য সহজ, তিনি এই একাদশ বেছেছেন তাঁর সতীর্থদের নিয়েই। রোনাল্ডোর সঙ্গে কখনও খেলেননি ইব্রা। তাই তাঁকে দলেও রাখেননি। দেখে নেওয়া যাক, কারা আছেন তাঁর স্বপ্নের একাদশে। অবশ্য চার -জন পরিবর্ত ফুটবলারও রয়েছেন।
কুচ কুচ হোতা হ্য়ায় বনাম বড়ে মিঁঞ্য়া ছোটে মিঁঞ্য়া
১৯৯৮ সালের ১৬ অক্টোবর বক্সঅফিসে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল দুটি ছবি। মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ও গোবিন্দাকে ছাপিয়ে বক্সঅফিসের দখল গিয়েছিল কিং খানের কাছে।
গোলরক্ষক
তাঁর স্বপ্নের একাদশের 'লাস্ট লাইন অব ডিফেন্স' আর কেউ নন, প্রবাদপ্রতীম ইতালীয় গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি বুফোঁ। জুভেন্টাসে পর পর দুই বছর একসঙ্গে খেলেছিলেন ইব্রা ও বুফোঁ। মজার বিষয়, তাঁর পরিবর্ত ফুটবলারদের মধ্যেও একজন গোলকিপার আছেন - প্রাক্তন ইন্টার মিলান গোলরক্ষক জুলিও সিজার। সিজারের নাম তিনি লিখেছেন, ম্য়ান ইউয়ের গোলরক্ষক দা হিয়া-এর নাম কেটে।
মহব্বতেঁ বনাম মিশন কাশ্মীর
২০০০ সালের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল এই দুটি সিনেমা। সদ্য বলিউডে পা রাখা হৃত্বিক রোশনকে প্রায় উড়িয়ে দিয়েছিল শাহরুখ ও অমিতাভ জুটি।
রক্ষণ
তাঁর চারজনের রক্ষণে রয়েছেন লিলিয়ান থুরাম, থিয়াগো সিলভা, আলেসান্দ্রো নেস্তা ও ম্যাক্সওয়েল। প্যারি সাঁ জাঁ-য় ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একসঙ্গে খেলেছিলেন জ্লাটান ও থিয়াগো সিলভা। পর পর চারবার লিগ ওয়ান ট্রফি জেতেন । ২০১০-১২ দুই বছর ইব্রা-নেস্তা খেলেছেন এসি মিলানে। বার্সা দলের পাঁচজন সতীর্থ রয়েছেন তাঁর দলে। তাদের প্রথমজন হলেন থুরাম। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তিনি একসঙ্গে খেলেছেন ৪টি ক্লাবে - আয়াক্স, ইন্টার, বার্সেলোনা ও পিএসজি।
বীর-জারা বনাম এ্যাতরাজ
২০০৪ সালের ১২ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল এই দুই সিনেমা। বাকিটা সকলের জানা। মাত্র ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এ্যাতরাজ। অন্যদিকে বছরের সবচেয়ে সফল ছবি বীর-জারার আয় হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা।
মাঝমাঠ
মাঝমাঠে ইব্রা বেছেছেন জাভি, প্যাট্রিক ভিয়েইরা, ও পাভেল নেদভেদকে। যে কোনও স্ট্রাইকারই জাভিকে সেন্ট্রাল ডিপেন্সিভ মিডফিল্ডে পেলে বর্তে যাবেন। বার্সায় থাকার সময় জাভির মাহাত্য বুঝেছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। জুভেন্টাস ও ইন্টার দুই ক্লাবে ফরাসী মিডফিল্ডার ভিয়েইরার সঙ্গে খেলেছেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাঁরা ৪টি লিগ খেতাব জিতেছিলেন। পাভেল নেদভেদ ১৩ বছর ধরে ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সমানভাবে খেলে গিয়েছেন। ইব্রা তাঁে পেয়েছিলেন জুভেন্টাসে।
ডন বনাম জানেমন
এই প্রথম বলিউডে শাহরুখ-সলমন ক্ল্য়াশ। ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল দুটি সিনেমা। এবারও বক্স অফিসে বাজিমাত করেন কিং খান।
দুই প্রান্তে
আক্রমণভাগে রাইট উইংয়ে জ্লাটান রেখেছেন লিও মেসিকে। বার্সায় য়েই বছর এসেছিলেন জ্লাটান সেই বছরই প্রথম মেসি এক মরসুমে ৩০ গোল করেছিলেন। অনেকে মনে করেন, মেসির ওই উত্থানেই বার্সায় বেশিদিন খেলা হয়নি সুইডিশ তারকার। কিন্তু স্পপ্নের একাদশে ডানপ্রান্তে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছেন জ্লাটান।
এই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র মেসি ছাড়া অতীতে একমাত্র রোনাল্ডিনহোরই প্রশংসা শোনা গিয়েছে জ্লাটানের মুখে তিনি বলেছিলেন, ব্রাজিলিয় তারকা 'প্রতিপক্ষকে বাচ্চা বানিয়ে দেয়'। ইন্চার মিলানে তাঁর সঙ্গে খুব অল্পদিনই খেলার সুযোগ পেলেও ইব্রা রোনাল্ডিনহোকেই রেখেছেন ডান প্রান্তে।
ওম শান্তি ওম বনাম সাঁওরিয়া
শাহরুখের বীপরীতে এই সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে পা রাখেন দীপিকা পাড়ুকোন। অন্যদিকে সাঁওরিয়া সিনেমায় রণবীর কাপুর ও সোনম কাপুরকে ব্রেক দেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী। ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া দুটি সিনেমার মধ্যে শাহরুখের সিনেমাই সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করেছিল।
স্ট্রাইকার
স্ট্রাইকার পজিশনে ইব্রার বাছাই তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ যে হবেন না তাঁকে যাঁরা চেনেন, তারা সহজেই অনুমান করতে পারেন। কারণ এই জায়গায় নিজের চোখে সবসময়ই তিনিই সেরা।
চেন্নাই এক্সপ্রেস বনাম ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই এগেইন
২০১৩ সালের ৯ অগাস্ট মুক্তি পেয়েছিল 'চেন্নাই এক্সপ্রেস'। অন্যদিকে অক্ষয় কুমারের সিনেমা 'ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই এগেইন' মুক্তি পেয়েছিল ১৫ অগাস্ট। তা সত্ত্বেও শাহরুখকে টপকাতে পারেননি অক্ষয়।
|
পরিবর্ত
পরিবর্ত ফুটবলারদের তালিকায় জুলিও সিজার ছাড়া আছেন আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, ফাবিও কানাভারো, জেনারো গাত্তুসো ও ক্লেরেন্স সিডর্ফ।
যব তক হ্যায় জান বনাম সন অব সর্দার
শাহরুখের সিনেমার সঙ্গে রিলিজ করা অজয় দেবগণের সিনেমা 'সন অব সর্দার' পুরোপুরি ফ্লপ হয়েছে বলা না গেলেও তা শাহরুখের সিনেমাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।
দিলওয়ালে বনাম বাজিরাও মস্তানি
দুটি সিনেমাই মুক্তি পাওয়ার কথা এবছরের ১৮ ডিসেম্বর। তবে সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিনেমাকে ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে শাহরুখ-কাজলের দিলওয়ালে।
রইস বনাম সুলতান
আগামী ঈদে মুক্তি পাবে শাহরুখের সিনেমা রইস ও সলমন খানের সিনেমা সুলতান। এবার বক্স অফিসে কে শেষ হাসি হাসে সেটাই এখন দেখার।