
তিন প্রধানকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান দিতে চলেছে রাজ্য সরকার
ভারতীয় ফুটবলের তিন প্রধানকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ২৫ জুন নজরুল মঞ্চে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বঙ্গ বিভূষণ সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানকে। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে শতাব্দী প্রাচীন এই তিন ক্লাবের অবদানকে মাথায় রেখেই এই স্বীকৃতি প্রদান।

মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি স্বপন সাধন বসুকে (টুটু বসু) মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠিতে লেখা রয়েছে, "মোহনবাগান ক্লাব বাঙালির কাছে আবেগের নাম। শুধু ফুটবল নয়, ক্রীড়াক্ষেত্রের বিভিন্ন ধারায় মোহনবাগানের অবদান অনস্বীকার্য। মোহনবাগান ক্লাব শুধু বাঙালির কাছে নয়, সমগ্র ভারতবাসীর কাছে গৌরবের স্থানে দখল করেছে।"
শুধু একা মোহনবাগান নয়, বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলকে বিশ্ব দরবাড়ে পরিচিতি এনে দেওয়া ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডানকেও এই সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার ঐতিহ্যশালী মোহনবাগানকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানের জন্য বিবেচিত করায় গর্বিত সবুজ-মেরুন সদস্য- সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই এবং মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবুন) বলেছেন, "বিশাল আনন্দ হচ্ছে। ১৯৭৮ সাল থেকে মোহনবাগানের খেলা দেখি। আই লিগ, কলকাতা লিগ জয়ী মোহনবাগান দলের ফুটবল সচিব ছিলাম আমি। মোহনবাগানের ফুটবল সচিব হিসেবে এটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। জাতীয় ক্লাবের জন্য বিশাল বড় একটা সম্মান। দিদিকে আমি মা বলি। আমার বড় দিদি-ই আমার মা, বাবা। মু্খ্যমন্ত্রী হিসেবে দিদি একের পর এক যা কাজ করে চলেছেন তাতে আমি অভিভূত।"
ডুরান্ড কাপের জন্য নিজেদের ঘরের মাঠেই অনুশীলন করবে মোহনবাগান। ৩০ জুলাই থেকে নতুন মরসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে পারে এটিকে মোহনবাগান। দল গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। এক জন ভারতীয় স্ট্রাইকার সহ কয়েক জন ফুটবলারকে সই করালেই এটিকে মোহনবাগানের দলগঠনল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম প্রধান মহমেডান স্পোর্টিং ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। তবে, অপর প্রধান ইস্টবেঙ্গল চলছে কচ্ছপের তালে। এখনও দল গঠন করতে পারেনি লাল-হলুদ। এরই মধ্যে ১৬ তারিখ ডুরান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচ তাদের খেলতে হবে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ফলে এই মরসুমও ইস্টবেঙ্গল ব্যর্থতার সঙ্গে শেষ করে একেবারেই অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।