Mamata On Pele: পেলের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিচয় হয়েছিল, শোকবার্তায় লিখলেন মমতা
কসমস ক্লাবের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পেলে খেলে গিয়েছিলেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। সেই সুখস্মৃতিতে আজ ডুবে রয়েছেন ওই ম্যাচে খেলা ফুটবলাররা। এরপর পেলে ফের বাংলায় এসেছিলেন ২০১৫ সালে। ক্রীড়া সংগঠক শতদ্রু দত্তর উদ্যোগে। সেই সময়ই পেলেকে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সংবর্ধিত করেছিল রাজ্য সরকার।
শোকাহত মমতা
পেলের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, কিংবদন্তি ফুটবলার এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো (পেলে)-র প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গতরাতে ব্রাজিলের সাও পাওলোয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
'হৃদ্যতাপূর্ণ পরিচয়'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ফুটবলসম্রাট পেলে ব্রাজিল জাতীয় দলের পক্ষে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে তিনবার ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ২০১৫ সালে পেলে যখন কলকাতায় আসেন,তাঁর সঙ্গে আমার হৃদ্যতাপূর্ণ পরিচয় হয়েছিল।
পরিবারকে সমবেদনা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় উল্লেখ করেছেন, পেলে নাইট অফ দি অর্ডার অফ রিও ব্রাঙ্কো, নাইট কম্যান্ডার অব দ্য অর্ডার অফ দি ব্রিটিশ এম্পায়ার-সহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, তাঁর প্রয়াণ ক্রীড়া জগতে এক অসীম শূন্যতার সৃষ্টি করল। আমি পেলের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
শেষবার কলকাতায় ২০১৫ সালে
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নেতাজি ইনডোরে রাজ্য সরকারের তরফে পেলেকে যে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল তাতে ছিল চাঁদের হাট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পেলে ছাড়াও ছিলেন কসমস ম্যাচে ফুটবল সম্রাটের বিরুদ্ধে খেলা মোহনবাগানের তৎকালীন ফুটবলাররা। বাংলার ফুটবল জগতের দিকপালদের সঙ্গেই হাজির ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এ আর রহমান প্রমুখ। আপ্লুত পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতে স্নেহচুম্বন করেছিলেন। আজ ওই অনুষ্ঠান দেখা সকলের মনেই তাঁর সুখস্মৃতির ভিড়। শোকের আবহের মধ্যেও। কেন না, পেলের মতো ব্যক্তিত্বদের কখনও মৃত্যু হয় না। তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন ফুটবলপ্রেমীদের মনে।