Euro 2020: ওয়েম্বলি থেকে ইউরো সেমিফাইনাল ও ফাইনাল সরাতে পারে উয়েফা
ইংল্যান্ডে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সাউদাম্পটনে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ২৫ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন ৫০ শতাংশ দর্শক। তবু জুলাইয়ের ৬ ও ৭ তারিখের সেমিফাইনাল ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠেয় ফাইনাল লন্ডন থেকে বুদাপেস্টে সরানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে উয়েফা।
কঠোর নিভৃতবাস
উয়েফার অসন্তোষের মূল কারণ ব্রিটিশ সরকারের জারি করা নিভৃতবাস সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ। ইউরোর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল লন্ডনের ওয়েম্বলিতে হলে ওইসব দেশের সমর্থকরাও লন্ডনে যাবেন। কিন্তু বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে তাতে ব্রিটিশ সরকারের লাল ও হলুদ তালিকায় থাকা কোনও দেশ থেকে কেউ গেলে তাঁকে প্রথমেই ১০ দিন কঠোর নিভৃতবাসে কাটাতে হবে। শুধু যে ১০টি দেশ সবুজ তালিকায় রয়েছে সেই দেশ থেকে কেউ ইংল্যান্ডে প্রবেশ করলে তাঁকে আর নিভৃতবাসে কাটাতে হবে না।
উয়েফার আর্জি
ব্রিটিশ সরকারকে এই নিভৃতবাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলের অনুরোধ জানিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে উয়েফা। কেন না, এভাবে ১০ দিন কঠোর নিভৃতবাসে থাকতে হলে উয়েফা ও ফিফার আধিকারিক, স্পনসর, সম্প্রচারকারী সংস্থার আধিকারিক-সহ আড়াই হাজার ভিআইপি-র সেমিফাইনাল ও ফাইনালে থাকা সম্ভব হবে না। অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সমর্থকরাও সমস্যার সম্মুখীন হবেন। উয়েফার তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাঁরা খেলা দেখতে যাবেন তাঁদের ২৪ ঘণ্টার জন্য লন্ডনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। নিভৃতবাসে থাকার দরকার নেই, গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত থাকবে। করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক করা হোক। কিন্তু আলোচনায় বরফ গলার ইঙ্গিত মেলেনি ব্রিটিশ সরকারের অনড় অবস্থানে।
ছবি- উয়েফা ইউরো
বিকল্প ভাবনা
ঠিক একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল আয়োজনের সময়েও। ইস্তানবুল থেকে অল-ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ওয়েম্বলিতে সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিল উয়েফা। কিন্তু ট্র্যাভেল রেসট্রিকশনের কারণে শেষে পর্তুগালে তা আয়োজন করতে হয়। তবে এবার ওয়েম্বলিতে ইউরো সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আয়োজন নিয়ে এখনও আত্মবিশ্বাসী উয়েফা।
এগিয়ে বুদাপেস্ট
যদিও তারই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিকল্প জায়গা খোঁজার। এই নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে বুদাপেস্ট। ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা যেখানে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হচ্ছে সেখানে ইউরোর মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। কিন্তু একমাত্র বুদাপেস্টের পুস্কাস অ্যারেনাতেই স্টেডিয়ামে ১০০ শতাংশ দর্শকাসন ভর্তি রাখার অনুমতি মিলেছে। হাঙ্গেরি ও পর্তুগাল ম্যাচ মাঠে বসে দেখেছেন প্রায় ৬৮ হাজার দর্শক। তাঁদের কাছে রাখতে হচ্ছে হাঙ্গেরিয়ান ইমিউনিটি কার্ড যাতে বোঝা যায় সকলেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন অথবা ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালেই মাঠে ঢুকতে পারছেন দর্শকরা। বাইরে থেকে যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা ৭২ ঘণ্টা হাঙ্গেরিতে থাকতে পারছেন নিভৃতবাস ছাড়াই। সে কারণেই ইউরোর মহা-ম্যাচ আয়োজনে হঠাৎই হট ফেভারিট হয়ে উঠেছে বুদাপেস্ট।