মেসিদের দুঃস্বপ্নের রাত, বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে ছারখার করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বায়ার্ন
মেসিদের দুঃস্বপ্নের রাত, বার্সেলোনাকে ২-৮ গোলে ছারখার করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বায়ার্ন
মেসির বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে ছারখার করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল বায়ার্ন মিউনিখ। লিসবন ম্যাচের আগে খাতায় কলমে জার্মানির দল এগিয়ে থাকলে এভাবে আধিপত্য রেখে ম্যাচ জিততে পারে এমন আন্দাজ ছিল না। নব্বই মিনিট ধরেই বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণ বার্সাকে নিয়ে ছেলেখেলা করল। ইউরোপীয় ফুটবলে এটাই বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় পরাজয়।
বায়ার্নের ৮ গোল!
ম্যাচে সব মিলিয়ে বায়ার্ন ৯ বার তেকাঠিতে বল রাখে। নিজেদের জালে একটি আত্মঘাতী গোল বাদে বার্সেলোনাকে ৮ গোল দিয়েছে জার্মানি ক্লাব। দলের হয়ে দুটি করে গোল টমাস মুলার ও ফিলিপে কুটিনহোর। ব্রাজিলের এই ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছিল বার্সা। ম্যাচের শেষ দিকে নেমে কুটিনহো বার্য়ানের হয়ে ৭ ও ৮ নম্বর গোলটি করেন। একটি গোল করিয়েছেন। কুটিনহোর দুগোল আসে ৮৫ ও ৮৯ মিনিটে। মুলারের গোল আসে ৪ ও ৩১ মিনিটে। বায়ার্নের হয়ে ইভান পেরিসিচ, সেরজে নাব্রি, জোসুয়া কিমিচ ও রর্বাট লেয়নডস্কি একটি করে গোল করেছেন। ৭ মিনিটে বার্য়ানের ডেভিড আলাবা আত্মঘাতী গোল ও ৫৭ মিনিটে সুয়ারেজ ১টি গোল করলে বার্সেলোনা স্কোরলাইনে অন্তত ২ গোল জুড়তে পেরেছে।
প্রশ্নের মুখে বার্সার ভবিষ্যৎ, কাতালানদের স্বর্ণযুগের বিদায়
চলতি মরসুমে দলের পারফর্ম্যান্স নিয়ে মেসি বারবার সরব হয়েছেন। এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা যায় না বলেও মেসি ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন। যেকারণেই মেসির সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের মধ্যে প্রাচীর তৈরি হয়। পরে ২০২১ সালে চুক্তি শেষ হলে মেসি ক্লাব ছাড়বেন বলেও গুঞ্জন। এর মাঝেই ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্টে ২-৮ গালে হার যেন কাতালান ক্লাবের স্বর্ণযুগের বিদায়ের ইঙ্গিত দিয়ে গেল। চলতি বছরে করোনা পরবর্তী সময়ে লা-লিগার প্রত্যবর্তনে টানা কয়েকটি ম্যাচ ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ট্রফি হারিয়েছে মেসিরা। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লজ্জার ২-৮ হার! যারপর বার্সার ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে।
বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়
লিসবনে বার্য়ান মেশিনে বিধ্বস্ত বার্সেলোনা। বার্য়ানের প্রেসিং ফুটবলের সামনে মেসিরা ২-৮ গোলে ম্যাচ হারল। পরিসংখ্যান বলছে ১৯৪৬ সালের কোপা দেল রেতে সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ কোনো ম্যাচে আট গোল হজম করেছিল বার্সেলোনা। এরপর থেকে এটি তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়, আর সব মিলিয়ে বার্সার ইতিহাসের হারের ব্যবধানের দিক দিয়ে এটি ষষ্ঠ। ১৯৫১ সালের পর এই প্রথম বার্সা ছয় গোলের ব্যবধানে হারল। ইউরোপে এর আগে এক ম্যাচে পাঁচের বেশি গোল খায়নি বার্সা। লজ্জার হারে অনেক রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিল বার্সেলোনা।
নকনাউটে কোনও দলের সবচেয়ে বড় হার
এমন লজ্জা আর অপমানে বার্সেলোনা ঠিক কবে ডুবেছিল, জানতে ইতিহাসের পাতা খুলে বসতে হবে। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নকআউট পর্বে এটিই কোন দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড। মেসি ও বার্সার ফুটবল ইতিহাসে দুঃস্বপ্নের রাত!