পাহাড়ি হাওয়াকে আটকাতে ব্যর্থ বাগান, দশজনেও লড়ল সবুজমেরুণ ব্রিগেড
বৃহস্পতিবার নাটকীয় নব্বই মিনিটের লড়াই দেখল যুবভারতী স্টেডিয়াম
বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে সনি-ক্রোমাকে ছাড়াই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। প্রতিপক্ষ শিলং লাজং আগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তথৈবচ পারফরম্যান্স দিলেও পাহাড়ি দলকে নিয়ে সতর্ক ছিলেন মোহন কোচ। ম্যাচ যেভাবে গড়াল তাতে প্রমাণিত হল সত্যি আশঙ্কাই করেছিলেন সবুজ মেরুণ কোচ।
এদিন শুরুটা অবশ্য মন্দ করেনি মোহনবাগান। দশ মিনিটেই শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডিপান্ডা ডিকা। সুযোগ নষ্ট করেননি শিলং লাজং থেকে আসা এই বিদেশি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন। গত ম্যাচে খেলার সময় কলার বোনে চোট পেয়ে বেশ কিছুদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন ইয়ুটা। নিজের গোল তাকেই উৎসর্গ করেন।
এরপর অবশ্য প্রথমার্ধে আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনও পক্ষই। কিন্তু এক গোলের ব্যবধান কখনই নিরাপদ নয়, সেটাই প্রমাণ হল এদিনের ম্যাচে। ৭২ মিনিটে সমতা ফেরায় শিলং লাজং। বক্সের মধ্যে ফাউল করার পেনাল্টি পায় শিলং। শিলটন একটা মোক্ষম চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু স্যামুয়েল লালমপুইয়ার শট তাঁকে পরাস্ত করে গোলে ঢুকে যায়।
তবে এটাই শেষ নয়। হতশ্রী ঘটনাক্রমের আরও বাকি ছিল। এর মিনিটে খানেকের মধ্যেই কড়া ট্যাকেলের জন্য কিংসলে হলুদ কার্ড দেখেন। এটি দ্বিতীয় কার্ড হওয়ার জন্য দশ জনে হয়ে যায় মোহনবাগান।
তবে দশ জনে হয়ে যাওয়া মোহনবাগান লড়াই থেকে সরে যায়নি। বারবার আক্রমণে ভেসে যাচ্ছিল শিলং লাজং রক্ষণ। ডিপান্ডা ডিকা চেষ্টা করেন কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেননি। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। তিন পয়েন্ট হারানোর দুঃখ থাকলেও ম্যাচ হারতে হয়নি এটাই এখন কিছুটা ক্ষতে মলম দিচ্ছে মোহন সমর্থকদের। এই ম্যাচের পর ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে মিনার্ভা পাঞ্জাবের পরেই থাকল মোহনবাগান।