ফ্রেন্ডলি ম্যাচেও সুইৎজারল্যান্ডকে হারাতে পারল না স্পেন
বিশ্বকাপের আগে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডকে হারাতে পারল না স্পেন।
গোটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেও সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে পারল না স্পেন। ফ্রেন্ডলি ম্যাচে এক গোলে এগিয়ে গিয়েও, ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট হতে হল জুলিন লোপেতেগুইয়ের ছেলেদের।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ সুইৎজারল্যান্ডের উপর চেপে বসে স্পেন। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ তুলে আনতে থাকে দাভিদ সিলভা-আন্দ্রে ইনিয়েস্তারা। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও ম্যাচে প্রথম গোলটি পেতে ২৯ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় স্পেনকে।
ম্যাচে ২৯ মিনিটে অনবদ্য গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন রাইটব্যাক আলভারো ওড্রিয়োজোলা। দাভিদ সিলভার পাস থেকে গোল করে যান এই রাইটব্যাক। সুইৎজারল্যান্ডের ডিফেন্স একটু সচেষ্ট হলেই এই গোলকে আটকানো যেত। কারণ দাভিদ সিলভার কাছে আসার আগে বলটি সহজেই বিপদমুক্ত করতে পাতেন সুইস ডিফেন্ডারেরা।
[আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের আগে মেসিকে বেনজির আক্রমণ, জার্সি এবং ছবি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি]
গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয় স্পেন, তুলে আনে একের পর এক আক্রমণ কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে থেলেন স্প্যানিসরা। প্রথমার্ধের অন্তিমলগ্নে সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার প্রাচীর না হয়ে উঠলে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দিতেই পারতেন ইনিয়েস্তা।
প্রথমার্ধ খেলা শেষে ফল থাকে স্পেনের পক্ষে ১-০। আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে ঝাপাবে স্পেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরতে থাকে সুইৎজারল্যান্ড। তবে, এর মধ্যেও যে স্পেন সুযোগ পায়নি, তেমনটা কিন্তু নয়। ম্যাচের ৫৯ মিনিটেই গোল সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে দিয়েগো কোস্তার কাছে। কিন্তু নেট মিস করেন তিনি।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে সুইৎজারল্যান্ডকে সমতায় ফেরান রিকার্ডো রডরিগেজ। তবে, এই গোলের ক্ষেত্রে অনেক অংশে দায়ী স্পেন গোলরক্ষক দাভিদ দ্য হিয়া। সহজেই গোলের মুখ ছোট করে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু তিনি রিকার্ডোকে সুযোগ দেন এগিয়ে আসার জন্য। ফলে সহজেই গোল মুখ ওপেন হয়ে যায় তাঁর কাছে।
এর পর একাধিকবার দুই দলের ফুটবলাররা গোলমুখী আক্রমণ করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ১-১ ব্যবধানেই শেষ হয় এই ম্যাচ। ম্যাচ ড্র হলেও দলের পারফপরম্যান্সে খুশি স্পেনের কোচ।