প্লাজার হ্যাটট্রিকে উড়ে গেল সুভাষের স্ট্র্যাটেজি, টালিগঞ্জের বিরুদ্ধে বড় জয় ইস্টবেঙ্গলের
কলকাতা লিগে জমজমাট সুভাষ ভৌমিক বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ছিল। তবে সুভাষ ভৌমিকের টালিগঞ্জ অগ্রগামী পারল না লাল হলুদকে আটকাতে।
ডার্বির আগে দারুণ চনমনে ইস্টবেঙ্গল। কারণ আর কিছুই নয় টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ৫-০ গোলে জিতে ডার্বির আগে দলের মধ্যে বাড়তি অক্সিজেনের যোগান দিয়ে রাখল লালহলুদ।
খেলার শুরুতে ম্যাচটির গুরুত্ব অবশ্য অন্য ছিল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর চেয়ে ফোকাসে ছিল লালহলুদের প্রাক্তন কোচ সুভাষ ভৌমিকের বিরুদ্ধে লালহলুদের লড়াই। এদিন প্রথম গোল পাওয়াটা দেরি করিয়ে দেওয়া ছাড়া সুভাষের মগজাস্ত্রের অবশ্য বিশেষ পরিচয় পাওয়া গেল না। ২৮ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন উইলিস প্লাজা।
গত মরশুমের প্রায় বাতিল প্লাজার ওপর আস্থা দেখিয়েছিলেন খালিদ জামিল, এদিন একাই বিপক্ষের রক্ষণকে ছিঁড়ে খেলেন খালিদের বিশ্বস্ত বিদেশি। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা বল দুরন্ত হেডে বিপক্ষের গোলে পৌঁছে দেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ফরোয়ার্ড। তবে প্রথমার্ধে আর গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ফের গোল। ৫১ মিনিটে ফের গোলদাতা উইলিস প্লাজাই। একাই টালিগঞ্জ অগ্রগামীর তিনটি রক্ষণের প্লেয়ারকে একাই কাটিয়ে গোল করে দেন তিনি।
টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ২৭ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন উইলিস প্লাজা। বক্সের মধ্যে আসা বল দারুণ হেডে টালিগঞ্জের গোলে ঢুকিয়ে দেন প্লাজা। এতেই থামেননি তিনি। ৬৩ মিনিটে ফের গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক সেরে নেন প্লাজা। ছোট ছোট পাসে বল নিয়ে বিপক্ষের গোল অবধি পৌঁছে যান লাল হলুদ খেলোয়াড়রা। শেষে চুলোভার দুরন্ত পাস গোলে পৌঁছে দেন প্লাজা।
এরপরও খেলার রাশ হারাননি ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়াররা। কারণ ডার্বির আগে নিজেদের গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে রাখার ফর্মুলায় খেলছিল খালিদের ছেলেরা। ৮২ মিনিটে ৪-০ -স্কোরলাইন করে দেন লিখিন পূজারি, ২ মিনিটের মধ্যেই ফের গোল এবার গোলদাতা লালদানমাওয়িয়া রালতে। এরপর খেলার অতিরিক্ত সময়ে লালকার্ড দেখেন টালিগঞ্জ অগ্রগামীর গৌতম কুজুর। ফলে দশ জনে হয়ে যান তারা। ৫-০ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।