ভারতীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠ ম্যাচকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে যুবভারতী, কাতারে কাতারে মানুষের ঢল মহারণে
ভারতীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠ ম্যাচকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে যুবভারতী, কাতারে কাতারে মানুষের ঢল মহারণে
শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় বাঙাল-ঘটির চিরকালীন দ্বৈরথকে ঘিরে সেজে উঠেছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ। কৃত্তিমবাতিস্তম্ভের আলোয় শুধু ঝলমল করছে না সবুজ ঘাসের গালিচা, পাশাপাশি বড় ম্যাচকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামের ঢোকার পথও সেজে উঠেছে নানান রঙের আলোয়। ভিআইপি গেট দিয়ে ঢোকার সময়ে চোখে পড়ছিল রাস্তার দুই ধারে এটিকে মোহনবাগানের এক এক জন ফুটবলারের কাট আউট তার কোনওটার নীচে সবুজ আর কোনওটার নীচে মেরুন আলো জ্বলজ্বল করছে।
স্বাগতিক দল ইস্টবেঙ্গল এবং আয়োজক দল এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলারদের নিয়ে আসা টিম বাসকে স্বাগত জানানোর জন্যও ছিল অভিনব পরিকল্পনা। তবে, সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই ম্যাচে প্রধান ইউএসপি সমর্থকেরা। এই ম্যাচ একশো বছর পেরিয়েও নিজের আদি অকৃত্তিক জৌলুস ধরে রেখেছে সমর্থকদের কারণেই। দুই দলের হাজার হাজার সমর্থক এ দিন রাঙিয়ে তুলেছে গ্যালারিকে। এক দিকে যেমন সবুজ-মেরুন রঙে নিজেদের রাঙিয়েছেন গঙ্গাপারের সমর্থক, তেমনই ইস্টবেঙ্গল অন্তপ্রাণ সমর্থকেরা উজ্জ্বল লাল-হলুদ রঙে নিজেদের রাঙিয়ে তুলেছেন গ্যালারিতে। ভারতীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠ ম্যাচে মেক্সিকান ওয়েভের সাক্ষীও থাকল দেশের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী মানুষ।
বহু দিন পর ডার্বির পুরনো আমেজ এ দিন ধরা দিয়েছে যুবভারতীতে। কিছু দিন আগেই গিয়েছে দীপাবলি-কালীপুজো, আলোর উৎসবের সেই রেশ এ দিন ধরা পড়ে গ্যালারিতে। শব্দবাজির আরম্বরে নৈশালোকের মায়াবী পরিবেশ আরও মনোরম হয়ে উঠেছে। কাতারে কাতারে মানুষ এ দিন ভিড় জমিয়েছেন গ্যালারিতে। দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এখনই স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছেন। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে সেই সংখ্যাটা ৫৫ হাজারে পৌঁছে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দু'টি দলই লিগ তালিকায় খুব ভাল জায়গায় নেই কিন্তু তবুও নিজেদের দলকে ঘিরে সমর্থকদের এই উন্মাদনা সত্যি প্রমাণ করে কেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি শুধু এশিয়ার নয় বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা।