শুধু সিনে পর্দায় নয়, 'জীবনের কোচ' ক্ষিদ্দা, কলেজ জীবন থেকে শুরু 'বাঙালির অপুর' ফুটবল প্রেম
শুধু সিনে পর্দায় নয়, 'জীবনের কোচ' ক্ষিদ্দা, কলেজ জীবন থেকে শুরু 'বাঙালির অপুর' ফুটবল প্রেম
সিনে পর্দায় সুইমিং কোচ ক্ষিদ্দার চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় আজও বাঙালির কাছে সেরা মোটিভেশন। 'ফাইট কোনি ফাইট!' দাঁতে দাঁত চেপে, হাত মুঠো করে ক্ষিদ্দার কন্ঠে কোনির জন্য এই মোটিভেশনে, আজও বাঙালির গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়, ঐ ডায়লগে মুহুর্তেই লড়াইয়ে ফেরে যায়! সৌমিত্রের কন্ঠে 'ফাইট কোনি ফাইট' ডায়লগ যেন বাঙালির কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র।
শুধু সিনে পর্দায় নয়, 'জীবনের কোচ' ক্ষিদ্দা
পর্দায় সুইমিং কোচের চরিত্রে অভিনয় করা হলেও ফুটবলার বা ফুটবল কোচের চরিত্রে এভাবে জীবনযুদ্ধে নাছোড় লড়াই করে চলার বার্তা দিয়ে ওঠা হয়নি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। ক্ষিদ্দা হয়ে স্রোতের বিপরীতে জীবনযুদ্ধে লড়াইয়ের প্রাণবায়ু তিনি বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন। যারপর পর্দায় খেলার দুনিয়া নিয়ে তৈরি সিনোমায় বহু তারকারা কোচের ভূমিকা পালন করলেও, বঙ্গ সিনেমপ্রেমীরা সৌমিত্রের ক্ষিদ্দাকেই জীবনে রোজকার পথ চলায় কোচ হিসেবে এগিয়ে রাখেন।
ফুটবল খেলার প্রতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দারুণ আকর্ষণ ছিল
ফুটবলার বা ফুটবল কোচ হিসেবে কোনও চরিত্রের মধ্য়ে দিয়ে ছাপ রেখে যাওয়ার সুযোগ না এলেও ফুটবল খেলা, ময়দানের প্রতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দারুণ আকর্ষণ ছিল। এক বছর আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে এসে 'বাঙালির অপু' সেকথাই জানিয়েছিলেন।
কলেজের সময় মাঠে বসে খেলা দেখেছেন ক্ষিদ্দা
কলেজের সময় থেকেই মাঠে বসে খেলা দেখায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ভালোবাসা তৈরি হয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে এসে পর্দার ক্ষিদ্দা সেকথাই জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ইস্টবেঙ্গলের পঞ্চপান্ডবের খেলা দেখে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল। শতবর্ষের অনুষ্ঠানে এসে সৌমিত্রবাবু মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেকথা নিজে মুখেই বলেছিলেন।
ফুটবলের প্রতি বাঙালির আবেগে আপ্লুত ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পঞ্চপান্ডবের সেই ফরোয়ার্ড লাইনে তৈরি গোলের দৃশ্যগুলো মনে করলে তাঁর এখনও শরীর যেন বিদ্যুতের ঝলক বয়ে যায়। এখানেই শেষ না করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, 'ফুটবল বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম ঘনিষ্ঠ পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্ধু পিকের সঙ্গে দেখা হলে ফুটবল নিয়ে কথা হয়। পিকে তাঁর কোচিং জীবনের আবেগের কথা আমায় শুনিয়েছিল। পিকে বারবার বলত, ফুটবল খেলায় সমর্থকদের আবেগের কোনও তুলনা হয়না। কোচিং করিয়ে ফিরলে সমর্থকরা যে ভালোবাসা জানাতেন সেই ভালোবাসায় পিকে আপ্লুত হত। কতখানি ভালোবাসা থাকলে এমন হয়, বাংলার ফুটবল দেখলে, ফ্যানেদের উন্মদনা দেখলে তা অনুভব করতে পারি।'
কেরিয়ারে কোন কোন পরিচালকের সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
{document1}