Euro 2020: আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রাচীনতম দ্বৈরথে স্কটল্যান্ড রুখে দিল ইংল্যান্ডকে
ইউরো কাপে শুক্রবার রাতের বৃষ্টিস্নাত ওয়েম্বলি সাক্ষী থাকল আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রাচীনতম দ্বৈরথের। যদিও দুই দশক পর মেজর (ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে) খেলতে এসে প্রথম ম্যাচে হারলেও আজ চমক দিল স্কটল্যান্ড। হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়ে গ্রুপ ডি-র লড়াই জমিয়ে দিল অ্যান্ড্রু রবার্টসনের নেতৃত্বাধীন দল।
Goalless at Wembley. Fair result? 🤔#EURO2020
— UEFA EURO 2020 (@EURO2020) June 18, 2021
১৮৭২ সালে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল ফুটবলের লড়াইয়ে। এই ম্যাচটিই প্রথম আন্তর্জাতিক দ্বৈরথ বলে স্বীকৃত। দুই দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমিতে যে ম্যাচে লড়াই থিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চড়াই-উতরাই পেরিয়েও স্কটরা ইংল্যান্ডকে প্রাচীন শত্রু বলেই মনে করে। তাই ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড যখন পরস্পরের মুখোমুখি হয় তখন বরাবরই ম্যাচের মেজাজ থাকে চড়া। দুই দলের ১১৫তম সাক্ষাতটি ছিল এবারের ইউরোতে। ১৯৯৬ সালের ইউরোয় মেজর-এ দুই দলের শেষ সাক্ষাতে ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে। তবে এদিন হোম অ্যাডভান্টেজের সুযোগ নিতে না পেরে আটকে গেল সাউথগেটের ইংল্যান্ড।
🏴 Stones heads against a post! 😱
— UEFA EURO 2020 (@EURO2020) June 18, 2021
Who's impressed in the opening 15?#EURO2020 pic.twitter.com/BfeQ6lurgM
বল দখলের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড অবশ্য গোটা ম্যাচে এগিয়ে ছিল। প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। ১১ মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের কর্নারে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন জন স্টোনস, যদিও তা পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। আবার ৩০ মিনিটে স্কটল্যান্ডের স্টিফেন ও'ডোনেলের শট রুখে দেন ইংল্যান্ডের জর্ডন পিকফোর্ড। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর অবশ্য ১৯৮১ সালে ওয়েম্বলির ম্যাচের মতো স্কটল্যান্ডের কাছে হারতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধেও ইংল্যান্ডের অর্ধে আছড়ে পড়তে থাকে স্কটল্যান্ডের আক্রমণ। চে অ্যাডামস, লিন্ডন ডাইকসরা আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও ইংল্যান্ডের গোলকিপার বেশ কিছু ভালো সেভ করেন।
🧤 Strong hand from Pickford to deny O'Donnell! #EURO2020 pic.twitter.com/c4fdkcl8wW
— UEFA EURO 2020 (@EURO2020) June 18, 2021
এরই মধ্যে ৬২ মিনিটে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রস থেকে গ্র্যান্ট হ্যানলির হেড প্রতিহত হয়ে ফিরে এলে পেনাল্টি এরিয়ার মাঝখান থেকে লিন্ডন ডাইকস গোলমুখী শট মারেন। শেষ মুহূর্তে সঠিক জায়গায় থেকে ইংল্যান্ডের বিপদ কাটান ডিফেন্ডার টাইরন মিংস। ৬৩ মিনিটে ফিল ফডেনকে তুলে নিয়ে জ্যাক গ্রিলিশকে নামান ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। অধিনায়ক হ্যারি কেনকে স্কটরা কার্যত বোতলবন্দি করে ফেলায় তাঁকে ৭৪ মিনিটে তুলে নিয়ে মার্কাস রাশফোর্ডকে নামানো হয়। গ্রিলিশ, স্টার্লিংরা চেষ্টা চালালেও স্কটল্যান্ডের রক্ষণও ছিল আত্মবিশ্বাসী। অবশেষে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই প্রথম ওয়েম্বলিতে দুই দলের দ্বৈরথ গোলশূন্যভাবে শেষ হল। ফলে গ্রুপ ডি-তে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের পরেই রইল ইংল্যান্ড। স্কটল্যান্ড এক পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার নীচে। তবে হ্যারি কেন এদিনের ম্যাচে ১৯টির বেশি টাচ করতে পারেননি। মঙ্গলবার চেক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে তাঁর ফর্ম চিন্তায় রাখবে ইংল্যান্ডকে। এদিনের ম্য়াচ থেকে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করে স্কটল্যান্ডও চেষ্টা চালাবে শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে যাওয়ার।