প্রথম ম্যাচেই লজ্জার হার না হলে অন্য সৌদিকে দেখা যেত, স্পষ্ট হল মিশর ম্যাচে
এশিয়ার দেশটিকে নিয়ে যখন সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত, তখন প্রথম ম্যাচেই এক ব্যতিক্রমী ফল সৌদিকে নক আউট পর্বে ওঠার লড়াই থেকে প্রায় ছিটকেই দিয়েছিল। সেই হ্যাং-ওভার কাটাতে বড্ড দেরি হয়ে গেল তাদের।
প্রথম ম্যাচেই পাঁচ গোলের ধাক্কা খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল সৌদি আরবকে। এশিয়ার দেশটিকে নিয়ে যখন সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত, তখন প্রথম ম্যাচেই এমন ব্যতিক্রমী ফল সৌদিকে নক আউট পর্বে ওঠার লড়াই থেকে প্রায় ছিটকেই দিয়েছিল। সেই হ্যাং-ওভার কাটাতে বড্ড দেরি হয়ে গেল তাদের।
শেষ ম্যাচে সৌদির খেলায় ঝাঁঝ ছিল ঠিকই, কিন্তু গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল পেনাল্টি পাওয়া পর্যন্ত। তাও একটি পেনাল্টিতে হল না, দ্বিতীয় পেনাল্টি থেকে বহুকাঙ্খিত গোল। খরা কাটল গোলের। আর জয়ের গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৯৪ মিনিট। ৯৪ মিনিটে জয়সূচক গোল সালেমের।
এদিন সৌদি আরব প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলই উপহার দিয়েছে। গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সৌদি আরব। এর মধ্যে সালাহর গোলে পিছিয়ে পড়লেও পাল্টা আঘাতে মিশরের রক্ষণ জর্জরিত করে দেয়। এদিন ম্যাচের ৬৪ শতাংশ বল পজেশন ছিল সৌদির। মিশর মাত্র ৩৬ শতাংশ। সেই কারণেই প্রথমার্ধেই দু-দুটি পেনাল্টি আদায় করে নেয়। দ্বিতীয়টিকে গোলে রূপান্তরিত করে খেলায় ফিরে আসে সৌদি আরব। আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আসে জয়ের গোল।
এ গ্রুপে সৌদি বনাম মিশর ম্যাচের আদতে কোন গুরুত্ব ছিল না। কারণ এই গ্রুপ থেকে আগেই কোয়ালিফাই করেছে উরুগুয়ে ও রাশিয়া। ছিটকে গিয়েছিল সৌদি আরব ও মিশর। উভয়েই এদিন ম্যাচে নেমেছিল সম্মানরক্ষার তাগিদে। সেই ম্যাচে জিতে তিন নম্বরে শেষ করল সৌদি আরব। মিশরের স্থান সবার শেষে। তবে সৌদি এদিন যে ফুটবল উপহার দিয়েছে, প্রথম ম্যাচে অঘটন না ঘটলে, অন্যরকম ভাবেই লিখতে হত এদিনের ম্যাচ রিপোর্ট।