স্যাঞ্চোর ম্যাজিকেই চিলিকে দুরমুশ ইংল্যান্ডের, কলকাতা পেল নতুন নায়ককে
ইংল্যান্ড একপ্রকার বুঝিয়েই দিল অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যেই তাঁরা ভারতে এসেছেন। এবছরই হাতছাড়া হয়েছে অনুর্ধ্ব ১৭ ইউরো কাপ। এবার আর খালি হাতে ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁরা বিশ্বকাপ খেলতে আসেননি।
বিশ্বকাপে খেলার জন্য তাঁকে ছাড়তে চায়নি জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। শেষমেশ অনেক বুঝিয়ে-সুজিয়ে তাঁকে ভারতে আনতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। সেই জর্ডন স্যাঞ্চোর ম্যাজিকেই চিলিকে দুরমুশ করে ছাড়ল ইংল্যান্ড। জোড়া গোল করেন ম্যাচের নায়ক ইংল্যান্ডের ওয়ান্ডার কিড স্যাঞ্চো। সঙ্গে একটি অ্যাসিস্টও রয়েছে। ভাগ্য সহায় না থাকায় এদিন হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত হন বরুশিয়া ডর্টমুণ্ডের এই তারকা মিডফিল্ডার।
এদিন ইংল্যান্ড একপ্রকার বুঝিয়েই দিল অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যেই তাঁরা ভারতে এসেছেন। এবছরই হাতছাড়া হয়েছে অনুর্ধ্ব ১৭ ইউরো কাপ। এবার আর খালি হাতে ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁরা বিশ্বকাপ খেলতে আসেননি। সেই কারণেই জার্মান ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্যাঞ্চোকে তাঁরা অন্তর্ভুক্ত করে টিমে। এ বছরই ম্যাঞ্চেস্টার ছেড়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে নাম লেখান স্যাঞ্চো। তাঁকে নিয়ে কেন এত স্বপ্ন তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন 'ওয়ান্ডার বয়'।
স্যাঞ্চো ছাড়াও এদিন দলের হয়ে গোল করেন ক্যালাম হাডসন ও অ্যাঞ্জেল গোমস। এদিনই সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হল। প্রথম ম্যাচেই মন ভরিয়ে দিল ইংল্যান্ড। কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দ দিয়ে চিলিকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন স্যাঞ্চোরা। এদিন স্যাঞ্চো কলকাতার ফুটবল উন্মাদনায় জোয়ার তুলে দিয়ে যান। এদিন তাঁর খেলায় নয়া তারকাও পেয়ে গেল কলকাতা। এমনকী যুবভারতীতে উঠল স্যাঞ্চো স্যাঞ্চো আওয়াজও।
প্রথমার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। স্যাঞ্চোর পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হাডসন। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল চিলি। কিন্তু গুয়েরোর শর্ট বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে চিলিকে নিয়ে স্রেফ ছেলে খেলা করেন স্যাঞ্চোরা। ৪১ মিনিট ও ৬১ মিনিটে জোড়া গোল করেন স্যাঞ্চো। আর ৮১ মিনিটে চিলির কফিনে শেষ পেরেকটি পুতে দেন পরিবর্ত অ্যাঞ্জেস গোমস।
গুয়াহাটিতে অন্য ম্যাচে নিউ ক্যালডোনিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা করল ফ্রান্স। জিনোদিন জিদানের দেশ এদিন জয় পায় বড় ব্যবধানে। ৭-১ গোলে জয় পায় ফ্রান্স। প্রথমার্ধেই ৬-০ গোলে এগিয়ে যায়। খেলা শেষ হয়ে যায় সেখানেই। দ্বিতীয়ার্ধে তাই স্রেফ সময় কাটানোর খেলা হয়। দুই পক্ষই একটি করে গোল করে। স্কোর লাইন দাঁড়ায় ৭-১।