ভারতীয় ফুটবলকে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ করছে রিলায়েন্স? বিদেশি কমানো নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে মেইল চালাচালি!
ভারতীয় ফুটবলকে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ করছে রিলায়েন্স? বিদেশি কমানো নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে মেইল চালাচালি!
ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য আই লিগে ইতিমধ্যে বিদেশি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মরসুমে ভারতীয় ফুটবলের ম্যাচ দেখে জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ দেশের লিগগুলিতে বিদেশি কমিয়ে দেশি ফুটবলারদের উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে মত দিয়েছিলেন। ফেডারেশনও সেই পথে হেঁটে বিদেশি কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শ্যাম থাপার নেতৃত্বে চার বিদেশির প্রস্তাব
প্রসঙ্গত মে মাসের শুরুতে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি আইএসএল ও আই লিগে বিদেশি কমানোর পক্ষে মত দেয়।বৈঠকে ছিলেন এআইএফএফ সচিব কুশল দাস, জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ আর ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেল। শ্যাম থাপার নেতৃত্বাধীন টেকনিক্যাল কমিটির সব সদস্যই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য বিদেশি কমানোর পক্ষেই সায় দেন। ৪ জন বিদেশি ফুটবলারকে দলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
কার্যকরী কমিটিতে গ্রিন সিগন্যাল
পরে এআইএফএফ- এর কার্যকরী কমিটি আই লিগে বিদেশি কমানোর ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেয়। ২০২০-২১ ফুটবল মরসুম থেকে আই লিগে বিদেশির সংখ্যা কমে চারজন করা হবে বলে ফেডারেশন জানায়।
এশিয়া কোটা থেকে এক জন
চারজন বিদেশি নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন এশিয়ান কোটার বিদেশি নিতে হবে। ম্যাচে চার বিদেশি খেলানো খেলানো যাবে।এতদিন আই লিগে প্রথম একাদশে পাঁচ বিদেশি খেলানো যেত। নতুন নিয়মে এখন থেকে সেই সংখ্যা চারে বেধে দেওয়া হয়েছে
আইএসএলে অন্য ছবি
আই লিগে বিদেশে কমলেও আইএসএলের ক্ষেত্রে এই ছবি দেখা যাচ্ছে না। বিদেশের সংখ্যা নিয়ে, ফেডারেশন নয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রিয়ালেন্স গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিদেশির সংখ্যা নিয়ে রিলায়েন্সের মুখ্য কর্তা মার্টিন বেইন ফেডারেশনকে কড়া মেল করেছিলেন। ফলে নতুন মরসুমে আইএসএলে বিদেশি কমছে না।
ভারতীয় ফুটবলকে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ করছে রিলায়েন্স?
ফেডারেশন ও আইএসএল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ই-মেল চালাচালির পর ফের এখন দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক কে সেই নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল? ভারতীয় ফুটবলের মূল স্পনসর রিলায়েন্সই কি তবে এআইএফএফ ও ভারতীয় ফুটবলকে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে!