ধর্ষণ মামলায় নতুন মোড়! ইতালিয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ লাস ভেগাস, 'নমুনা' পাঠাবেন রোনাল্ডো
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে, লাস ভেগাস পুলিশ, ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে তাঁর ডিএনএ নমুনা জমা দিতে বলেছে।
ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণ মামলায় নতুন মোড় এল। ইতালিয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রোনাল্ডোর ডিএনএ নমুনা চেয়ে পাঠালো লাস ভেগাস পুলিশ। জানা গিয়েছে নমুনা পাঠাবেন রোনাল্ডো। ক্যাথরিন মায়োর্গা নামে এক প্রাক্তন মডেল, তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেছিলেন।
প্রথম থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। লাস ভেগাস পুলিশের তদন্তের এই অগ্রগতির পরও তাঁর বয়ান দলায়নি। তাঁর আইনজীবি পিটার ক্রিশ্চিয়ানসেন জানিয়েছেন এই নমুনা চেয়ে পাঠানোর বিষয়টি তদন্তের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে তাঁর মক্কেল ঘাবড়াচ্ছেন না।
ডিএনএ মিলবে
ক্রিশ্চিয়ানসেন-এর
বক্তব্য
রোনাল্ডো
আগে
যা
বক্তব্য
ছিল,
এখনও
তাই
আছে।
অর্থাত
লাস
ভেগাসে
ওই
মডেলের
সঙ্গে
যৌন
সম্পর্ক
স্থাপনে
দুই
পক্ষেরই
সম্মতি
ছিল।
কাজেই
এই
ক্ষেত্রে
রোনাল্ডের
ডিএনএ
ঘটনাস্থলে
বা
অভিযোগকারিনীর
দেহে
বা
পোশাকে
মিলতেই
পারে।
আর
পুলিশও
যে
তা
চেয়ে
পাঠাবে
এটাও
বিস্ময়কর
নয়।
রোনাল্ডোকে ছাড় নেই
লাস ভেগাস পুলিশ এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রোনাল্ডোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য় তারা ইতালিয় কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি স্তরে অনুরোধ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, রোনাল্ডো সেলিব্রিটি বলে তাঁকে কোনও বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। আর পাঁচটি ধর্ষণের মামলার তদন্ত যেভাবে করা হয়, এক্ষেত্রেও সেই সবই করা হচ্ছে।
রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে অভিযোগ
৩৩ বছরের রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে গত বছর ক্যাথরিন মায়োর্গা নামে এক প্রাক্তন একটি পুরনো ধর্ষণের মামলা নতুন করে সামনে আনেন। ক্য়াথরিন অভিযোগ করেছিলেন ২০০৯-এ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর পরই লাস ভেগাসের এক নাইটক্লাবে তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডোর আলাপ হয়েছিল। এরপর হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোর করে তার সঙ্গে পায়ু সঙ্গম করেছিলেন ফুটবল স্টার।
#মিটু জুগিয়েছে সাহস
শুধু তাই নয়, ক্যাথরিন আরও জানিয়েছিলেন এই ধর্ষণ নিয়ে তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। তিনি এতদিন তা মেনে মুখ বন্ধ রাখলেও #মিটু আন্দোলন তাঁকে প্রকাশ্যে আসার সাহস জুগিয়েছে। তাই তিনি এতদিন পরে মামলা করেছেন।
টাকা দেওয়া মানেই দোষী নয়
রোনাল্ডোর আইনজীবী এই মুখ বন্ধ রাখার চুক্তির কথাটি মেনে নিলেও তাঁর বক্তব্য, রোনাল্ডো টাকা দিয়েছিলেন মানেই তিনি দোষী তা নয়। তিনি টাকা দিয়েছিলেন যাতে তাঁর নাম নিয়ে জনসমক্ষে কেচ্ছা না রটে, তার জন্য।
লাস ভেগাসে রোনাল্ডোর ডিএনএ পৌঁছানোর পর এই মামলার জল আর কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।