রেলওয়ে এফসি থেকে যাওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলে! ফুটবল মাঠেই প্রয়াত ২৫ বছরের দেবজ্যোতি
ফুটবল মাঠেই প্রাণ হারালেন প্রতিভাবান ফুটবলার। মাত্র ২৫ বছর বয়সে। মিডফিল্ডার দেবজ্যোতি ঘোষ রেলওয়ে এফসিকে এবারের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে তোলা এবং রানার-আপ করানোর পিছনে বড় অবদান রেখেছিলেন। তাঁর পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে আসন্ন মরশুমে তাঁকে সই করাতে মনস্থির করে ফেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।
(ছবি- দেবজ্যোতি ঘোষের ফেসবুক)
জানা গিয়েছে, আজ নবদ্বীপে বেলপুকুর পোলতা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত আট দলীয় নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বরূপগঞ্জ সেবক সমিতি ও কৃষ্ণনগর সেন্ট্রাল ক্লাবের খেলা চলছিল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বিপক্ষ গোলকিপারের পাঞ্চ এসে লাগে দেবজ্যোতির বুকে। ম্যাচের ৫৫ মিনিটের মাথায় এই আকস্মিক ঘটনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দেবজ্যোতি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। বমিও করছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
অভিযোগ, মাঠে ছিল না কোনও অ্যাম্বুল্যান্স বা আপৎকালীন কোনও ব্যবস্থা। একটি গাড়িতে তুলে কোনওরকমে নিয়ে যাওয়া হয় ধুবুলিয়া হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে সেখান থেকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন চিকিৎসকরা। সেখানে পৌঁছানোর পর দেবজ্যোতিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নদিয়ার গর্বের ফুটবলারের অকালপ্রয়াণে জেলা তো বটেই, বাংলার ক্রীড়ামহলেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কৃষ্ণনগরেই বাড়ি দেবজ্যোতির। পরিবারের একমাত্র সন্তান। অভাবের সংসার চলত দেবজ্যোতির উপার্জনেই। কলকাতার বরানগর অ্যাডামাস ক্লাবে অনুশীলন করতেন নিয়মিত। অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র স্বভাবের দেবজ্যোতির এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউই। যে ফুটবলকে সঙ্গী করেই বড় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখছিলেন দেবজ্যোতি এবং লাল হলুদের জার্সি গায়ে চাপানো ছিল সময়ের অপেক্ষা, সেই ফুটবল মাঠেই দুর্ঘটনার কবলে থেমে গেল দেবজ্যোতির পথ চলা।