Euro 2020 : বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিরক্ত ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর গলায় কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস
Euro 2020 : বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিরক্ত ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর গলায় কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস
গত রবিবার হওয়া ইউরো কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড। এই হারের জ্বালায় ক্ষিপ্ত ব্রিটিশ ফুটবল প্রেমীদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে সেই তিন ফুটবলারের ওপর, যারা পেনাল্টি মিস করেছেন। ঘটনাক্রমে তিন ফুটবলারই কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় তাঁদের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে। তাতে বিরক্ত হয়েছে গোটা বিশ্ব। ক্ষিপ্ত হয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।
ইংল্যান্ডে বর্ণবিদ্বেষ মেনে নিলেন বরিস
ইংল্যান্ডে যে বর্ণবিদ্বেষ একটা বড় সমস্যা তা মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার ব্রিটিশ সংসদে তিনি এ ব্যাপারে বড় বক্তব্য রেখেছেন। বলেছেন যে বর্ণবিদ্বেষ থেকে রেহাই পাননি তাঁর সরকারের অভ্যন্তরীন মন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেলও। ফলে এই কু-অভ্যাস যে তাঁর সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাও স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে বৈঠক
বুধবার ব্রিটেন সংসদে বরিস জনসন জানিয়েছেন যে ফুটবলের মতো জনপ্রিয় ক্রীড়াক্ষেত্রে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হচ্ছে বলে তিনি দুঃখিত। ইউরো কাপের ফাইনালের পর ইংল্যান্ডের তিন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারের সঙ্গে যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, এর জন্য তাঁদের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ যুদ্ধে দেশের নাগরিকদেরও পাশে চেয়েছেন জনসন।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে বৈঠক
ইতিমধ্যে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট সহ অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে এই সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন বরিস জনসন। যে বা যারা নেট দুনিয়ায় এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বা যারা এই অভ্যাসকে সমর্থন করছে, তাদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
মুখে খুলেছিলেন রাশফোর্ড
ইউরো কাপের ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করে খলনায়ক বনে যাওয়া মার্কাস রাশফোর্ডকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য শুনতে হয়েছে। এর জবাবও দিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টাপ ইউনাইটেডের ফুটবলার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট বিবৃতিও তিনি লিখেছেন।