Chelsea: নির্ধারিত হয়ে গেল চেলসির পরবর্তী মালিক, রেকর্ড অর্থে মালিকানা পাচ্ছে এই গোষ্ঠী
Chelsea: নির্ধারিত হয়ে গেল চেলসির পরবর্তী মালিক, রেকর্ড অর্থে মালিকানা পাচ্ছে এই গোষ্ঠী
অবশেষে নির্ধারিত হয় গেল কোন গোষ্ঠীর কাছে যেতে চলেছে চেলসির মালিকানা। চেলসি ফুটবল ক্লাবের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল ঐতিহ্যশালী ইংলিশ ক্লাবটির পরবর্তী মালিক হতে চলেছে লস অ্যাঞ্জেলেস ডোডজার্সের অন্যতম মালিক টোড বোহলি। ৫.২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে চেলসির মালিকানা যেতে চলেছে বোহলির কাছে।
চেলসির তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "সমস্ত প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক অনুমোদন সাপেক্ষে মে-এর শেষের দিকে এই বিক্রিয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।"
চেলসির রুশ মালিক রোমান আব্রমোভিচ মার্চ মাসে এই ঐতিহ্যশালী ক্লাব বিক্রি করার কথা ঘোষণা করে। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রসনের কারণে তাঁর উপর ব্রিটিশ সরকার নিশেধাজ্ঞা আরোপ করার কিছু দিন আগেই পরিস্থিতি আঁচ করে এই সিদ্ধান্ত নেন রোমান আব্রামোভিচ। বিভিন্ন গোষ্ঠী টাকার থলি উজার করে চেলসির মালিকানা পাওয়ার জন্য দরপত্র তোলে এবং বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। অবশেষে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে বোহলি এবং তার সহ বিনিয়োগকারীদের বেছে নেয় রেইনি গ্রপ যারা এই বিক্রয় প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করছিল।
চেলসির মালিকানায় বোয়েলির নেতৃত্বে আরও থাকছেন ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটাল, মার্ক ওয়াল্টার এবং হ্যানসজর্গ ওয়েস। তারা সবাই বোয়েলির ব্যবসায়িক গ্রুপের অংশ। এর মধ্যে হ্যানসজর্গ ওয়েস একজন সুইস বিলিয়নিয়ার, মার্ক ওয়াল্টার মার্কিন ব্যবসায়ী, জোনাথন গোল্ডস্টেইন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী এবং ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটাল একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, চেলসি বিক্রি করে উপার্যিত অর্থ আব্রামোভিচ পাবেন না। এই অর্থের পুরোটাই খরচ করা হবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমনে বিধ্বস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের কাজে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই চেলসির ডিরেক্টর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার ধনকুবের আব্রামোভিচকে। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তাঁর। সেই কারণে ব্রিটেনে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় তাঁকে। আব্রামোভিচের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেয় ব্রিটিশ সরকার। চেলসির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিজ করে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিস, কর্মীদের বেতন দেওয়া এবং ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করা বাবদ টাকা খরচ করতে পারবে চেলসি। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচের ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচ বাবদ কোনও ভাবেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করা হবে। ১০ মার্চের আগে যাদের চুক্তি হয়েছে তাদের মাইনে দেওয়া হবে। কিন্তু নতুন কোনও ফুটবলারকে সই করানো যাবে না বা কারওর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।
চেলসির মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী ছিলেন টেনিস নক্ষত্র সেরেনা উইলিয়ামস, ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তি লুইস হ্যামিল্টন। এ ছাড়াও চেলসি ক্রয় করার জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ধনীতম ব্যক্তি স্যার জিম র্যাটক্লিফ। ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ব্রিটেনের নির্মানকারী সংস্থা নিক ক্যান্ডি এবং বিখ্যাত রিকেটস পরিবার।