বোঝাপড়া আর আত্মবিশ্বাসেই বাজিমাত উরুগুয়ের, মাথা খুঁড়েও গোল পেলেন না রোনাল্ডো
উরুগুয়ের মতো বড় দলের বিরুদ্ধেও ৬০ শতাংশের উপর বল পজেশন রেখেছিল রোনাল্ডো বাহিনী। তবু কেন তাঁরা ব্যর্থ হল?
উরুগুয়ের মতো বড় দলের বিরুদ্ধেও ৬০ শতাংশের উপর বল পজেশন রেখেছিল রোনাল্ডো বাহিনী। তবু কেন তাঁরা ব্যর্থ হল? এই প্রশ্নের উত্তরে শুধু একটা কথাই বলতে হয় বোঝাপড়া আর আত্মবিশ্বাসের মেলবন্ধনেই জয় পেল উরুগুয়ে। রোনাল্ডোর পর্তুগালকে টা-টা বাই-বাই করতে যে হোমওয়ার্ক করেই নেমেছিল উরুগুয়ে তা দেখালেন সুয়ারেজ-কাভানিরা।
ম্যাচের শুরুতেই কাভানি গোল পেয়ে যেতেই টিপিক্যাল ডিফেন্স নির্ভর খেলায় ফিরে যায় উরুগুয়ে। ঠিক যেভাবে সুয়ারেজ আর কাভানির বোঝাপড়ায় গোল এসেছে, একইভাবে ডিফেন্সের বোঝাপড়ায় গোলকধাঁধায় পড়ে গেলেন রোনাল্ডোরা। যেখান থেকে গোলের পথ খুঁজেই পেল না পর্তুগাল। মিনিটে মিনিটে আক্রমণ তুলে আনলেও তা ব্যর্থ হল।
লাতিন আমেরিকার টিম হয়ে মেসিদের যখন কোনও পরিকল্পনা ছিল না, তখন আর এক লাতিন আমেরিকান দেশ দেখাল, পরিকল্পনামাফিক খেলেও কাজ হাসিল করে ফেলা যায়। বিশ্বকাপের এই আসর চার বছর অন্তর আসে, শুধু দৃষ্টিনন্দন ফুটবল দেখানোই উদ্দেশ্য নয়, এখানে জয় হাসিল করাটাই সর্বাগ্রে। তা-ই করতে হবে। তা-ই করে দেখালেন সুয়ারেজরা।
প্রায় শুরু থেক রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেও জয় হাসিল করে নিলেম তারা। মেসির পর রোনাল্ডোর স্বপ্ন ভেঙে চৌচির হয়ে গেল নক আউটের প্রথম দিনেই জৌলুষ হারাল বিশ্বকাপ। এদিন রোনাল্ডোর মতো ফুটবলারকে একটা শট নেওয়ার জায়গা দেননি উরুগুয়ের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। বল রোনাল্ডোদের পায়ে ঘোরাফেরা করলেও, ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি একাবারের জন্যও। যে গোল হয়েছে, তা কর্নার থেকে হেডে।
এই গোলের ক্ষেত্রে কিছুই করার ছিল না। পেপের মাথায় বল পড়েছিল, সেখান থেকে গোল। তারপর বল নিয়ে ঘুরেই গেল পর্তুগাল। আর উল্টোপাল্টা শট নিল। গোল না হতেই খেই হারিয়ে ফেলল। এমনকী এদিন রোনাল্ডোর ফ্রি-কিকও গোল পর্যন্ত গেল না। তার আগেই দেওয়ালে প্রতিহত হয়ে ফিরে গেল। তারই সূত্র ধরে ফিরে গেলেন রোনাল্ডোরা।