বিশ্বকাপে চুরি সাংবাদিকের জিনিস, অভিযোগকারীকেই চোরের শাস্তি নির্ধারণ করতে বলল পুলিশ
Array
একের পর এক বিতর্ক বেরিয়ে আসছে কাতার বিশ্বকাপ থেকে। এবার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে এল সেখান থেকে। আর তারপর সেখানকার পুলিশের ব্যবহারে বিস্মিত অভিযোগকারী। আর্জেন্টিনার এক টিভি রিপোর্টারের সংগে ঘটেছে এমন ঘটনা তিনি সেখানে নিজের কাজের গিয়েছিলেন নিজের কাজের সূত্রে। আর সেখানেই এমন ঘটনা ঘটে যায় তার সঙ্গে।
জানা গিয়েছে যে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে একটি লাইভ কভারেজ করছিলেন ওই সাংবাদিক। তার নাম ডমিনিক মেটজার। ওই লাইভ ব্রডকাস্টের সময়েি তার হ্যান্ডব্যাগ থেকে খোয়া যায় তার বেশ কিছু জিনিস।
তিনি দ্রুত এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান স্থানীয় থানাতে। এরপরেই তিনি এক অদ্ভুত উত্তর পান। তাঁকে বলা হয় যে, তিনি কি ধরণের শাস্তি চান চোরেদের জন্য? তিনি বলেন, "আমি থানায় গিয়েছিলাম। আর সেখানে যেতেই আমি বুঝতে পারি দুই দেশের সংস্কৃতির কত তফাত।"
এরপর তিনি বলেন, "পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে আমাদের হেই টেক ক্যামেরা আছে চারিদিকে এবং আমরা একদম মুখ চিহ্নিত করে চোরকে ধরে ফেলব। এবার আপনি বলুন যে আমরা যখন চোরকে ধরে ফেলব আপনি কি শাস্তি চান ওই চোরকে আমরা দিই"।এতে তিনি অবাক হয়ে যান। তিনি বুঝতেব পারছিলেন না কী করবেন।
তিনি বলেন, "আপনি কী ধরনের বিচার চান? আপনারা কি ধরনের শাস্তি আপনাদের কাছে চাইলে আপনারা দিতে পারবেন বলুন? আপনি কী তাকে পাঁচ বছর ধরে জেলে রাখতে পারবেন? তাকে কী নির্বাসনে পাঠাতে পারবেন?" অবাক হয়ে তিনি এই প্রশ্ন রেখেছেন।
এমন ঘটনা সত্যিই খুব কম ঘটে। সাধারণৎ এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশ কাজ করে। তারপর অপরাধীকে ধরা গেলে অভিযোগকারীদের মাধ্যমে চিহ্নিৎ করে নিশ্চিত করা হয় অথবা পুলিশ নিজেও নিশ্চিত হয়। এরপর দোষ অনুযায়ী আগে আটক করে পরে গ্রেফতার করা হয়। পরে আইন যেমন বলে সেই অনুযায়ী বিচার হয়ে শাস্তি হয়। কিন্তু কাতারের ঘটনা সম্পূর্ণ অন্যরকম। পুলিশই এখানে জিজ্ঞাসা করছে অভিযোগকারীকে যে সে কী শাস্তি আয় সেই অনুযায়ী শাস্তি হবে। এতে লঘু পাপে গুরুদণ্ড হবার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।
ঘটনা হল এই বিশ্বকাপে প্রথম দিনেই অনেক বিতর্ক সামনে চলে এসেছে। দুনিয়াকে অবাক করেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে কাতারের বিশ্ব ফুটবল মঞ্চে। সে সবের মাঝেই ঘটেছে এই ঘটনা।