একটা ম্যাচ, দুই পৃথিবীতে দুই বিদেশি, জীবনের বড় দর্শন বুঝে নিন
দুই প্লেয়ার , দুই পৃথিবী। উইলিস প্লাজা আর লালহলুদ জার্সিতে রইলেন না। শেষ লাইফ লাইন ছিল ডার্বি ম্যাচ। আর সেটা হারতেই শেষ হয়ে গেল তাঁর জীবন রেখা। আর যে ডিপান্ডা ডিকাকে যেন তেন প্রকারে ঘাড় থেকে নামিয়ে ফেলার অঙ্ক কষছিলেন মোহন কর্তারা, তাঁদের এখন নয়নের মণি ডিকাই।

[আরও পড়ুন:রোনাল্ডো- বেলের জোড়া গোল, লা লিগায় দুরন্ত জয় রিয়াল মাদ্রিদের ]
গোটা মরশুমেই গোল খরায় ভুগছেন উইলিস প্লাজা। ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর এই স্ট্রাইকারকে গত মরশুমে আশানুরূপ পারফরম্যান্স না হওয়ার পরও রেখে দিয়েছিলেন লালহলুদ কর্মকর্তারা। আসলে কোচ খালিদ জামিল আশ্বস্ত ছিলেন এ মরশুমে তাঁর পারফরম্যান্সকে অনেক ধারালো করতে পারেননি। কিন্তু আর যাই হোক তাঁকে গোলের মধ্যে ফেরাতে ব্যর্থ গত মরশুমের আই লিগ জয়ী কোচ।
অনেকদিন ধরেই বিক্ষুব্ধ ছিলেন কর্তারা। এবার তাঁরা জবাই করে ফেললেন। আসলে আই লিগ জিততে না পারলেও সমর্থকদের ডার্বিটা জিতে দিতে পারলেও অনেকটা মুখরক্ষা হয়। এ মরশুমের দুটো আই লিগ ডার্বিতেই ফ্লপ লালহলুদের বিদেশি।
তাই ডার্বি শেষেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন লাল-হলুদের শীর্ষ আধিকারিকরা। আর এই বৈঠকেই প্লাজাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী দু একদিনের মধ্যেই নতুন বিদেশি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
এদিকে ডার্বিতে কার্যত বিশ্বমানের গোল করে ভিলেন থেকে সটান নায়ক ডিপান্ডা ডিকা। একদিকে যেখানে মোহনবাগান জার্সিতে ক্রোমা বিদায়ের সঙ্গেই ছিল তাঁর নাম। যদিও তিনি চুক্তি শেষ করার জন্য যে টাকা চেয়েছিলেন তা জোগাড় না করতে পারায় উপরোধে ছুঁচো গেলার মতো তাঁকে গিলেছিলেন মোহন কর্মকর্তারা। এবার সেই ডিকাই বদলে দিলেন ডার্বির রঙ।
সঞ্জয় জমানায় একেবারেই ছন্দে ছিলেন না ডিকা। কিন্তু শংকরলাল চক্রবর্তীর কাছে অনেকটা যেন নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ক্যামেরুনের এই বিদেশি। তবে তাতেও ছিল না ধারাবাহিকতা। তবে ডার্বি যেন এক অন্য ডিকাকে দেখালো। আগেই বলেছিলেন সঞ্জয় সেনের খেলানোর ধরণে তাঁর পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। ডার্বিতে তাঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব দিয়েছিলেন শংকর লাল। পারফরম্যান্স দিলেন। আর লাইফ লাইন শুধু নয়, সমর্থক থেকে কর্মকর্তা সকলকেই নিজের ঝোলায় পুড়ে ফেললেন ম্যাজিশিয়ান।
এই ম্যাচ যেন জীবন দর্শন মতোই আরও একবার বুঝিয়ে দিল, 'কাল ক্যায়া হোগা কিসকো পাতা'- অর্থাৎ একটা কাল পুরো সময়কে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
[আরও পড়ুন:মেসি- সুয়ারেজকে আটকাতে ব্যর্থ সমস্ত বিপক্ষ, পারফরমেন্সে ঝলসে দিচ্ছেন বার্সা তারকারা]