মেসি-নেইমার যুগলবন্দীতে অপ্রতিরোধ্য পিএসজি, ব্রেন্টফোর্ডের কাছে গোলের মালা পরল ম্যান ইউ, স্তব্ধ বার্সেলোনা
মেসি-নেইমার যুগলবন্দীতে অপ্রতিরোধ্য পিএসজি, ব্রেন্টফোর্ডের কাছে গোলের মালা পরল ম্যান ইউ, স্তব্ধ বার্সেলোনা
মরসুমের প্রথম ম্যাচ থেকেই অপ্রতিরোধ্য প্যারিস সাঁ জাঁ। লিওনেল মেসি-নেইমারের যুগলবন্দীতে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে গোলের মালা পরাল পিএসজি। অপর দিকে, মরসুম বদলালেও ভাগ্য বদলেরও কোনও অঙ্গিত নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।
মেসি-নেইমার যুগলবন্দীতে অপ্রতিরোধ্য পিএসজি:
মরসুমের প্রথম ম্যাচে ক্লেমরঁ এফসিকে ৫-০ গোলে পরাজিত করা প্যারিস সাঁ জাঁ ৫-২ গোলে দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত করল মন্টপিলারকে। এ দিন প্যারিস সাঁ জাঁ'র হয়ে দু'টি গোল করেন নেইমার, একটি গোল করেন কিলিয়াম এমবাপে, একটি গোল করেন পরিবর্তন ফুটবলার হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে নামা রিনেটো স্যাঞ্চেজ। মন্টপিলারের ডিফেন্ডার ফালায়ে স্যাকো একটি গোল আত্মঘাতী করেন। এই গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত যদি না প্রথমে পেনাল্টি মারার সুযোগ পেয়েও কিলিয়ান এমবাপে তা গোলরক্ষকের হাতে না মারতেন। গোলের নেশা বুঁদ পিএসজি'র ডিফেন্সের ফাঁক ফোকরের সুযোগ নিয়ে মন্টপিলারের হয়ে দু'টি গোল শোধ করেন ওয়াবি কাজরি এবং এঞ্জো চাটো বিয়াই।
ব্রেন্টফোর্ডের কাছে গোলের মালা পরল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড:
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো'কে শুরু থেকে খেলিয়েও কোনও লাভ হল না। পুরনো মরসুম বদলে নতুন মরসুম এলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ব্রেন্টফোর্ডের ঘরের মাঠে ০-৪ গোলে পরাজিত হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এ দিন শুরু থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো দলে থাকলেও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমার্ধেই এই চারটি গোল করে ব্রেন্টফোর্ড। ১০ মিনিটের মাথাতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে প্রথম বল জড়ায় হোম টিম। মাথিয়াস জেনসনের পাস থেকে জসুয়া ডা সিলভার গোলে এগিয়ে যান ব্রেন্টফোর্ড। ১৮ মিনিটে মাথিয়াস জনসন খেলার ফল ২-০ করেন হোম টিমের পক্ষে। ইভান টনির পাস থেকে ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন বেন মি। ৩৫ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন ব্রায়ান এমবিউমো। এই গোলের পাসটিও বাড়ান টনি। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকলেও গোল পাননি।
ঘরের মাঠে ড্র বার্সেলোনার:
লিওনেল মেসি বেরিয়ে আসার পর বার্সেলোনার যে অবনতি শুরু হয়েছে তার কোনও সীমা-পরিসীমা দেখা যাচ্ছে না। গত মরসুমে ট্রফিহীন থাকার পর এই মরসুমেও হয়তো ট্রফির মুখ দেখতে পাবেন না আনসু ফাতি-ওসমানে ডিম্বেলেরা। বায়ার্ন মিউনিখ থেকে রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে তুলে আনলেও বার্সেলোনার যা অবস্থা ছিল এখনও তাই রয়েছে। ক্যাম্প ন্যূ-তে রায়ো ভালিক্যানোর বিরুদ্ধে অসংখ্য গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারল না বার্সা। ০-০ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। রাফিনহা-ডিম্বেলে কেউই তিন কাঠির সন্ধান সঠিক ভাবে খুঁজে পাননি।
বড় জয় ম্যানচেস্টার সিটি'র:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবস্থা যতটাখারাপ, ততটাইউজ্জ্বল ম্যানচেস্টার সিটি'রপারফরম্যান্স। গত মরসুমেরচ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয় ম্যাচে এএফসি বার্নিমাউথকে ৪-০ গোলে পরাস্ত করে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে। ম্যানচেস্টার সিটি'র হয়ে প্রথম গোলটি করেন ইকে গুণ্ডগান, ফিল ফোডেন পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইন, তৃতীয় গোলটি করেন ফোডেন এবং গোলের পাস বাড়ান ডি ব্রুইন। জেফারসন লিমা আত্মঘাতী গোল করে ম্যান সিটি'কেচতুর্থ গোলটি এনে দেন।