এবারের ময়দান কাঁপাতে ক্রোমা-কামো জুটি
মোহনবাগানের নতুন বিদেশি ঘানেফো ক্রোমা এবং কামো স্টিফেন বাই। এ মরশুমে সবুজ মেরুণ জার্সি গায়ে ফ্যানদের স্বপ্নপূরণের কান্ডারি কি হয়ে উঠতে পারবেন।
হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটো , ওকেলি ওডাফা খেলে গেছেন সবুজমেরুণ জার্সি। মোহনবাগানের ব্রাজিলিয়ান বিদেশি, নাইজেরিয়ান বিদেশিরা একটা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মোহনবাগানকে। দলের সদস্য সমর্থকরা তাঁদের দেখে দলের জয়ের জন্য ভরসায় বুক বেঁধেছেন। তাদের পথ পেদরিয়ে দলে এসেছেন সনি নর্ডি। তিনিও ভরসা দিয়েছেন দলকে। দলকে এনে দিয়েছেন আই লিগ, ফেড কাপ।
এঁদের পথ পেরিয়ে কলকাতা লিগে এবার বাগানের নতুন দুই বিদেশি ঘানেফো ক্রোমা এবং কামো স্টিফেন বাই। কলকাতা ময়দানে ক্রোমার প্রথম পদক্ষেপ পিয়ারলেসের হাত ধরে। গত মরশুমে চার্চিলে খেলে ৮ টি গোল করেছেন তবে এবার এই লাইবেরিয়ান ফরোয়ার্ড মোহনবাগান জার্সিতে মাঠে নামবেন। জানেন দায়িত্ব অনেক বেশি। যে দলের জার্সি গায়ে নামবেন তাঁদের সদস্য -সমর্থক প্রচুর। কামোর কথায় 'নিজের মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে হবে। তাহলে আর এত বড় ক্লাবে মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হবে না। রেজাল্ট পেলেই চাপ কমে যাবে এবং পারফর্ম করতে সুবিধা হবে।' পাশাপাশি জানিয়ে দিচ্ছেন সমর্থকদের উপস্থিতিতে কোনও বাড়তি চাপ হবে না। 'ফুটবলের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ সমর্থকরা। পারফরমেন্স দিলেই তাঁরা খুশি হবেন।'
এদিকে
দিদিয়ের
দ্রোগবার
দেশ
থেকে
আসা
ঘানেফো
ক্রোমা
হয়ে
উঠতে
পারেন
মোহনবাগানের
তুরুপের
তাস।
আই
লিগে
দলে
যোগ
দেওয়ার
কথা
দিয়েছেন
সনি
নর্ডি।
সাত
বছর
কলকাতা
লিগ
না
পাওয়া
মোহনবাগান
এবার
ঘরোয়া
লিগ
ঘরে
তুলতে
মরিয়া।
সেক্ষেত্রে
আইভরি
কোস্টের
ক্রোমা
সবুজমেরুণের
পালতোলা
নৌকাকে
এগিয়ে
নিয়ে
যেতে
পারবেন।
গত
মরশুমে
আইজল
এফসি-র
জার্সি
গায়ে
৮
গোল
করেছেন।
ক্রোমা
জানিয়ে
দিচ্ছেন,
'যে
কোনও
বিদেশি
ফুটবলার
ভারতে
এসে
খেললে
মোহনবাগানের
মত
বড়
ক্লাবে
খেলতে
চায়।
তবে
এটা
বেশ
কঠিন
চ্যালেঞ্জ।
আশা
করা
যায়
পারফর্ম
করে
সফল
হব।'
পাল তোলা নৌকা ফের ভাসতে চায়। সেই পালে হাওয়া লাগাতে ক্রোমা-কামোকে ভরসা করতে চাইছে সবুজমেরুণ ফ্যানরা। ব্যারেটো থেকে নর্ডি যে স্তরে মোহনবাগানের বিদেশিদের মান নিয়ে গেছেন তাতে নতুন দুই বিদেশিই যে চাপে থাকবেন তা নিঃসন্দেহ। তেমনি যদি দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেন তাহলে এঁরাই হয়ে উঠতে পারেন সমর্থকদের নয়নের মণি। ব্যারেটো, ওডাফা, সনি নর্ডির উত্তরসূরি হওয়ার লক্ষ্যে এখন দৌড় শুরু ক্রোমা ও কামোর।