চুক্তির খসড়া পৌঁছল ক্লাবে, অনুরোধের মোড়কে প্রেসার গেম শুরু লাল-হলুদের
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তির খসড়া ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে পাঠিয়ে দিল ইমামি গোষ্ঠী। নবান্ন থেকে ঘোষিত এই সংস্থাকে ইস্টবেঙ্গলের নতুন ইনভেস্টার হিসেবে দাবি করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা করার প্রায় এক মাস হতে চললেও লাল-হলু কর্তাদের নানান যুক্তি এবং কারণ দেখানোর জন্য় এখনও চূড়ান্ত চুক্তি পত্রে সই হয়নি। গত সপ্তাহে এই চুক্তির খসড়া আসার কথা থাকলেও তা পাঠায়নি ইমামি। অবশেষে সোমবার চুক্তির সেই খসড়া এসে পৌঁছে গিয়েছে ক্লাবে।

সূত্র মারফত যা খবর তাতে চুক্তিপত্রের যে ড্রাফট লেসলি ক্লডিয়াস সরণি'তে পাঠানো হয়েছে তাতে ইনভেস্টার সংস্থা ইমামি মোট শেয়ারের আশি শতাংশ দাবি করেছে। যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এই পরিমাণ শেয়ার ছাড়তে নারাজ। তাঁরা কোনও ভাবেই এত শতাংশ শেয়ার ছাড়তে চায় না। শেয়ার বেশি চাইলেও বোর্ড অব ডিরেক্টরে ক্লাবের চার জনকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। বোর্ডে ইমামির পক্ষ থেকে থাকবে ছয় জন এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে থাকবে চার জন।
মঙ্গলবার কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডেকেছিল লাল-হলুদ। সেই বৈঠকের মধ্যেই এসে পৌঁছয় চুক্তির খসড়া। কর্মসমিতির বৈঠকের মধ্যে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ দিন চুক্তির খসড়া নিয়ে কোনও কথা না বলেও ইস্টবেঙ্গলের সচিব কল্যাণ মজুমদার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ইনভেস্টারদের। সেখেনাে আবেদনের মোড়কে প্রেসার গেম খেলছে ক্লাব। যেমনটা করেছিল শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে। ইস্টবেঙ্গল সচিবের পাঠানো চিঠির বয়ানে রয়ছে, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম, সেক্ষেত্রে আমাদের টিম গঠনের প্রক্রিয়া যদি গতি না পায় তাহলে গত দুই তিন বছরের মতো আবার আমাদের লক্ষ্য অপূর্ণ থাকবে এবং ফুটবলপ্রেমীদের হতাশা ছাড়া আর কিছুই দেওয়া যাবে না। তাই চুক্তির প্রক্রিয়া সমান্তরালে চলুক যাতে দল গঠনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়।"
চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই চুক্তিতে সই হবে না, এমনটাই খবর। জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই চুক্তিতেই সই করতে চায় ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা।