হিমাচল প্রদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল অজিঙ্ক রাহানের দল
হিমাচল প্রদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন মুম্বই
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে হিমাচল প্রদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন মুম্বই। ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বইয়ের এই সাফল্যের অন্যতম নায়ক তরুণ ব্যাটসম্যান সরফরাজ খান। তবে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুম্বইয়ে তনুশ কোটিয়ান। কোটিয়ান এই ম্যাচে ৩ উইকেট নেন এবং উইনিং রান আসে তাঁর ব্যাট থেকেই।
ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন হিমাচলের অধিনায়ক ঋষি ধাওয়ান। শুরুটা খুব একটা ভাল না হলেও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে হিমাচল প্রদেশ তোসে ১৪৩/৮ রান। এই ম্যাচে হিমাচলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন একান্ত সেন। তিনি ছাড়াও লোয়ার অর্ডারে হিমাচলের হয়ে রান পান আকাশ বশিষ্ঠ (২৫) এবং ময়ঙ্ক ডাগর (২১)। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুধু রান পান প্রশান্ত চোপড়া এবং নিখিল গাংতা। ১৯ রান আসে প্রশান্তের ব্যাট থেকে এবং নিখিলের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। মুম্বইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট পান মোহিত আভাস্তি এবং তনুষ কোতিয়ান। একটি করে উইকেট পান আমন হাকিম খান এবং শিবম দুবে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-এর মধ্যেই দুই উইকেট হারায় মুম্বই। পৃথ্বী শ আউট হন ৮ রানে এবং অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের ব্যাট থেকে আসে ১ রান। এমন সময় মুম্বইয়ের ব্যাটিং-এর হাল ধরেন যশস্বী জসওয়াল, শ্রেয়স আইয়ার এবং সরফরাজ খান। যশস্বী জসওয়ালের ২৭ রান এবং শ্রেয়স আইয়ারের ৩৪ রান ম্যাচে বজায় রাখে মুম্বইকে। তবে, এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর মুম্বইকে একার দায়িত্বে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান সরফরাজ খান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন সরফরাজ। শিবম দুবে, আমন হাকিম খান এবং শামস মুলানি যথাক্রমে এই ম্যাচে করেন ৭ রান, ৬ রান এবং ২ রান। মুম্বইয়ের হয়ে উইনিং শট মারেন তনুশ কোটিয়ান। বৈভব অরোরা হিমাচলের ৩টি উইকেট পান। দু'টি করে উইকেট পান ঋষি ধাওয়ান এবং ময়ঙ্ক ডাগর।