হামলা চালিয়েও দায় নিল না মোর্চা, কী বোঝাতে চাইছেন রোশন গিরি-রা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া প্রতিরোধের মুখে চাপে পড়ে মোর্চা স্থির করতে পারছে না নিজেদের অবস্থান। তাই দু’মুখো নীতি উঠে আসছে মোর্চা নেতৃত্বের বক্তব্যে।
অনির্দিষ্টকালের পাহাড় বনধের প্রথম দিনের মোর্চার শো এককথায় সুপার ফ্লপ। বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়ালেও কোনও জায়গাতেই সরকারি অফিস বন্ধ করতে পারেনি মোর্চা। উল্টোদিকে আবার সেই হিংসার দায়ভার নিতেও অস্বীকার করেছে মোর্চা নেতৃত্ব। ফলাও করে মোর্চা নেতা রোশন গিরি জানিয়ে দিয়েছেন, কারা এসব করেছে জানি না। তবে মোর্চা ইচ্ছা করলেই সরকারি অফিস বন্ধ করে দিতে পারত।
এই দু'মুখো বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কী বোঝাতে চাইছেন রোশন গিরি? রাজ্যকেই বা কী বার্তা তিনি দিতে চাইছেন? একাধারে বলছেন মোর্চা হিংসার ঘটনায় জড়িত নয়, আবার বলছেন ইচ্ছা করলেই সরকারি অফিস বন্ধ করে দিতে পারত মোর্চা। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া প্রতিরোধের মুখে মোর্চা স্থির করতে পারছে না নিজেদের অবস্থান। অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন পাহাড়ে মোর্চার সরকারি অফিস বনধ কর্মসূচির প্রথম দিনে বেশ কতকগুলি জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বিজনবাড়ির বিডিও অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা দিয়ে শুরু। তারপর একে একে সুকনায় পঞ্চায়েত অফিস বন্ধের চেষ্টা, সোনাদায় বিদ্যুৎ বণ্টন অফিসে হামলা, লোবং রোডে পিডব্লুডি অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত হামলা চলে মোর্চার সমর্থনে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ সফল হতে পারেনি মোর্চা।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মোর্চা নেতা রোশন গিরি জানান, তাঁরা এইসব হামলার ঘটনায় জড়িত নন। তাঁরা চান পাহাড় সমস্যা মেটাতে হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্র। কেন্দ্র খতিয়ে দেখুক জিটিএ-র দাবি।