লজ্জা ! ডার্বি জিতে মোহন সমর্থকদের গুন্ডামি, মাথা ফাটল ইস্ট সমর্থকদের
লজ্জা ! কলকাতা ফুটবলে ডার্বিতে জিতল একটি দল ,হারল একটি দল। কিন্তু দিনের শেষে হারল ভারতীয় ফুটবল। ফের একবার সমর্থকদের নোংরা ব্যবহারের সাক্ষী থাকল রাজপথ।

ডার্বি ম্যাচে ৯০ মিনিটে ফলাফলের সঙ্গে যা সাঙ্গ হয়ে যাওয়ার কথা তা কিছুতেই সাঙ্গ করা যাচ্ছে না। এর আগেও একাধিকবার মোহনবাগান কিম্বা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা একে অপরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন। এবারও সেরকম হল।রবিবার আরও এক বার রক্তাক্ত হল বাংলার ফুটবল। মোহনবাগান সমর্থকদের হাতে মার খেতে হল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের।

যেরকম ডার্বির ম্যাচে টেম্পো ভরে সমর্থকরা নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যান। এদিনও সেরকমই হচ্ছিল। অকুস্থল স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাইপাস। সেখান ছিলেন দুই দলের সমর্থকরা। অভিযোগ ওই সময় হঠাৎ কাদাপাড়ার কাছে ইস্টবেঙ্গলের একটি ম্যাটাডোর আটকে হামলা চালান প্রায় ৪০ জন সবুজ-মেরুন সমর্থক। ছোড়া হয় এলোপাথারি ইঁট, বাঁশ নিয়েও হামলা চালান তাঁরা। ভেঙে দেওয়া হয় একটি গাড়ির কাঁচও।
আঘাতের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রক্তাত্ত হন লাল হলুদ সমর্থকরা। জনা পাঁচেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে। তবে, দু'জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি তিন জনের অবস্থা গুরুতর। এক জনের মাথায় ৭টি এবং এক জনের মাথায় দু'টি সেলাই পড়েছে। আরেক জনের মাথায় দু'টি সেলাইয়ের পাশাপাশি থুতনিতেও তিনটি সেলাই পড়েছে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইস্টবেঙ্গল সমর্থক অরূপ ব্যনার্জী। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটাই কী যথেষ্ট ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এরকম আগেও হয়েছে, হয়ত দোষীদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ক্লাব শাস্তিও দিয়েছে। কিন্তু যে জিনিস ভিতরে রয়েছে তা বদলানো তো এত সহজ নয়। কারণ অন্তরের এই দুষ্ট অস্তিত্ব যতদনি থাকবে ততদিন এই জিনিস চলবে। রক্তাত্ব হবে, কলঙ্কিত হবে ফুটবল। লজ্জিত হবে কলকাতার গর্বের ডার্বি।