দুই গোষ্ঠীর উপস্থিতিতেই জর্জকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে মোহনবাগান
জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান। লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল। ঘরের মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল মোহনবাগান। মোহনবাগানের একমাত্র গোলটি করেন ডিপান্ডা ডিকা।
জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান। লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল। ঘরের মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল মোহনবাগান।
এদিন প্রথম একাদশে বাগান অধিনায়ক শিল্টন পালকে রাখেননি শঙ্করলাল। তাঁর পরিবর্তে এদিন মোহনবাগানের গোলদূর্গের নীচে ছিলেন শঙ্কর রায়।
তবে, এদিন প্রথমার্ধে একেবারেই চেনা পরিচিত ছন্দে খেলতে পারেনি মোহনবাগান। চূড়ান্ত অফ কালার দেখায় ডিপান্ডা ডিকা এবং হেনরি কিসেকাকেও। তবে, প্রথমার্ধে ডিকার নেওয়া একটা ফ্রি কিক ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর প্রায়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনটি পরিবর্তন নেন মোহন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। আর এই তিনটি পরিবর্তনই এদিন বদলে দিল মোহনবাগানের ভাগ্য। জর্জের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের প্রথম একাদশে জায়গা না পাওয়া মেহতাব হোসেন, আজহারউদ্দিন মল্লিক এবং তীর্থঙ্কর সরকার মাঠে নামতেই পুরো বদলে যায় মোহনবাগানের খেলা।
উইং
বরাবর
উঠে
আসে
একাধিক
আক্রমণ।
আর
এরই
ফসল
হিসেবে
ম্যাচের
৭১
মিনিটে
উইনিং
গোলটি
পেয়ে
যায়
মোহনবাগান।
তীর্থঙ্কর
সরকারের
পাস
থেকে
হেডে
গোল
করে
যান
ডিপান্ডা
ডিকা।
তবে,
ডিকা
গোল
করলেও
গোটা
ম্যাচে
সেই
ভাবে
নিজেকে
মেলে
ধরতে
পারেননি
তিনি,
যেমনটা
পারেননি
হেনরি
কিসেকাও।
তবে, গোল শোধ করার সুযোগ চলে এসেছিল জর্জ টেলিগ্রাফের কাছেও। দ্বিতীয়ার্ধের অন্তিমলগ্নে শিল্টনের জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া শঙ্কর যদি দুরন্ত রিফ্লেক্সে পর পর দু'বার দলের পতন রোধ না করতেন, তাহলে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে হত মোহনবাগানকে। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোহন গোলরক্ষক শঙ্কর রায়।
এ দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগানে প্রাক্তন সভাপতি টুটু বসু এবং ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র। দুই বন্ধু একই বেঞ্চে বসে দলের জয়ের সাক্ষী থাকেন। তবে, একই বেঞ্চে বসলেও দু'জনের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব ছিল। টুটু-অঞ্জনের পাশাপাশি এ দিন মোহনবাগানের জয়ের সাক্ষী ছিলেন প্রাক্তন সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং প্রাক্তন অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত। এই ম্যাচ জয়ের ফলে তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষস্থানে উঠে এল মোহনবাগান।
[আরও পড়ুন: বিপদের সময়ে বাগানের ভরসা সেই দেবাশিস! তাঁর উদ্দ্যোগে এই মাসেই বাগানে আসছে চতুর্থ বিদেশি]