অপরাজিত থেকে ডুরান্ড কাপের শেষ আটে মহমেডান স্পোর্টিং, ভাগ্যের জোরে হার বাঁচালো সুনীল ছেত্রী বেঙ্গালুরু
অপরাজিত থেকে ডুরান্ড কাপের শেষ আটে মহমেডান স্পোর্টিং, ভাগ্যের জোরে হার বাঁচালো সুনীল ছেত্রী বেঙ্গালুরু
গ্রুপের শীর্ষে থেকে ডুরান্ড কাপের শেষ আটে পৌঁছে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। শুক্রবার গ্রুপ 'এ'-এর ম্যাচে পূর্ণ শক্তির বেঙ্গালুরু এফসি'র সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ম্যাচ ড্র করে পরবর্তী রাউন্ডে গ্রুপ লিডার হয়ে পৌঁছায় শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাব।
ম্যাচের শেষের দিকে মহমেডানের রক্ষণের ফোকাস একটু নড়বড়ে না হলে সুনীল ছেত্রীর দলের বিরুদ্ধে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত সাদা-কালো ব্রিগেড। এ দিন ম্যাচে ১৩ মিনিটে বাম দিক থেকে আভাস থাপার মাটি ঘেসা ক্রস থেকে নেওয়া শেখ ফৈয়াজের শট বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক দারুণ ভাবে বাঁচিয়ে দিলেও বলকে পুরোপুরি বিপদ মুক্ত করতে পারেনি। ফিরতি বলে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন প্রীতম সিং। প্রথমার্ধে উভয় দল বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোল সংখ্য়া আর বাড়েনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেঙ্গালুুরু এফসি'র প্রবীর দাস দূরপাল্লার শট নেন সাদা-কালোর তেকাঠিকে লক্ষ্য করে শটের মধ্যে বিপদের গন্ধ থাকলেও ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের গোলরক্ষক জোথান মাউইয়া দুর্দান্ত দক্ষতায় দলের পতন রোধ করেন। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মহমেডানের অভিষেক হালদারের দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দেয় বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক। ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে শেষ ১৭ মিনিট দশ জনে খেলতে হয় মহমেডানকে। দু'টি হলুদ কার্ড দেখার ফলে লাল কার্ড দেখিয়ে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অভিষেক হালদারকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন রেফারি সি আর শ্রীকৃষ্ণ। ম্যাচের ৯০+১ মিটিে বেঙ্গালুরুর স্ট্রাইকার শিবশক্তি মহমেডানের জালে বল জড়িয়ে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচান দলকে।
এ দিন বেঙ্গালুরু প্রথম একাদশে নয়টি পরিবর্তন করেন দলটির কোচ। গত ম্যাচে যে প্রথম একাদশ শুরু করেছিল সেই একাদশের মাত্র দুই ফুটবলার সুনীল ছেত্রী এবং হীরা মণ্ডল শুরু থেকে খেলেন। এ দিন বেঙ্গালুরু এফসি'র হয়ে মাঠে নামেন সন্দেশ ঝিংঘান। গ্রুপে রানার্স হয়ে মহমেডানের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল বেঙ্গালুরু।