স্টার রোনাল্ডোর জারিজুরি আটকে শেষ আটে উরুগুয়ে, জোড়া গোলে নায়ক কাভানি
ম্যাচের শুরুতেই তান বেঁধে দিয়েছিলেন কাভানি। তারপর রোনাল্ডোদের আক্রমণ ঝড় আছড়ে পড়লেও ম্যাচের ফলে তা কোনও প্রভাব ফেলতে পারল না।
ম্যাচের শুরুতেই তান বেঁধে দিয়েছিলেন কাভানি। তারপর রোনাল্ডোদের আক্রমণ ঝড় আছড়ে পড়লেও ম্যাচের ফলে তা কোনও প্রভাব ফেলতে পারল না। উরুগুয়ে ডিফেন্স ঝড়ের সামনেও একবারের বেশি ভেঙে পড়ল না। ঝড় সামলেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নিল লাতিন আমেরিকার এই দল।
দৃষ্টিনন্দন না হলেও, সারা ম্যাচে পরিকল্পনা করেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে উরুগুয়ে। রোনাল্ডোকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেয়নি একেবারেই। ফলস্বরূপ আক্রমণ শানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গোল করতে ব্যর্থ রোনাল্ডোরা। দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগালের হয়ে পেপে কর্নারে হেড করে এই বিশ্বকাপে প্রথমবার উরুগুয়ের গোলে বল ঢোকালেও সাত মিনিট বাদেই ফের কাভানি এগিয়ে দিলেন উরুগুয়েকে।
তারপর ফের শুরু হল রক্ষণাত্মক ফুটবল। আগাগোড়া এই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেই বাজিমাতের করল সুয়ারেজ ব্রিগেডের। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। এদিন প্রথম ম্যাচেই মেসির স্বপ্নভঙ্গ করেছে ফ্রান্স। এবার রোনাল্ডোর স্বপ্ন ভেঙে দিল মেসির প্রতিবেশী দেশ উরুগুয়ে।
ম্যাচের একেবারে শুরুতে সাত মিনিটের মাথায় গোল করে উরুগুয়েকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কাভানি। সুয়ারেজের পাস থেকে হেডে দৃষ্টিনন্দন গোল। যদিও বল তাঁর মাথা না ছুঁয়ে কাঁধ ছুঁয়ে গোলে ঢোকে। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। একটি ফ্রি-কিক থেকে সুয়ারেজ প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষক অসম্ভব দক্ষতায় তা বাঁচিয়ে দেন।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের মরিয়া চেষ্টায় নামে রোনাল্ডোর দল। ৫৫ মিনিটে কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে আকাঙ্খিত গোলও পেয়ে যায় পর্তুগাল। ডিফেন্ডার পেপে গোল কের সমতা ফেরান। কিন্তু গোল শোধের সাত মিনিটের মাথায় ফের গোল করে উরুগুয়েকে এগিয়ে দেন কাভানি। এরপর আর সমতা ফেরাতে পারেনি পর্তুগাল।
বরং প্রতি আক্রমণে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে উরুগুয়ে। পর্তুগালও মুহূর্মুহূ সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু ডিফেন্সিভ জোনে উরুগুয়ে কোনও প্রতিপক্ষ প্লেয়ারকেই শট করতে দেননি। ফলে কোনও আক্রমণই সেভাবে কার্যকর হয়নি। পর্তুগালের এই হারের ফলে একই দিনে বিশ্ব ফুটবলের দুই মহানায়কের পতন ঘটল। প্রথমে মেসি, তারপর রোনাল্ডো। তাদের পতনে এদিন দুই নতুন নায়কের উত্থান হল। একজন বিস্ময় 'বালক' এমবাপে। অন্যজন উরুগুয়ের স্টার কাভানি।
ম্যানেজার হিসাবে পরপর চারটে বড় টুর্নামেন্টে দলকে নক আউটে তোলার বিরল কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পর্তুগালের হোজস্যার ফার্নান্দো স্যান্তোস। ২০১২ ইউরো, ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৬ ইউরোর পর ২০১৮ বিশ্বকাপে তিনি দলকে নক আউটে তুলেছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। উরুগুয়ের প্ল্যান ফুটবলের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল রোনাল্ডো বাহিনী।