
পারদ চড়ছে বিশ্বকাপকে ঘিরে, তুঙ্গে টিকিটের চাহিদা, একটা স্থানও ফাঁকা থাকবে না কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের
ঘড়ির কাটায় দুপুর ১২'টা। মাথার উপর প্রখর তেজ নিয়ে বিরাজ করছেন সূর্যদেব। গনগনে রোদকে উপেক্ষা করে অল্প বয়সী থেকে মধ্য বয়স্ক কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের গেট নম্বর 4A-এর বাইরে লাইন দিয়ে চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে, ইতিহাসের সাক্ষী থাকার জন্য একটি টিকিটের আশায়। তবে, সকলে যে টিকিট পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই। টিকিট বিক্রি কেন্দ্রের ভিতরে থাকা বিশ্বস্ত সূত্রের থেকে খোঁজ নিয়ে যা জানা গেল তাতে লাইনে দাঁড়ানো সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত হাসি মুখে ফিরতে পারবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। অফ লাইনে পরে রয়েছে মাত্র কয়েকশো টিকিট। যা বিক্রি শুরু হয়েছে দুপুর ১১'টা থেকে।

অন-লাইনে টিকিটের যে কোটা ছাড়া হয়েছিল তা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কমপ্লিমেন্টরি যে টিকিট ছাড়া হয়েছিল তাও প্রায় শেষের পথে। ওড়িশা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং নিজস্ব সূত্র মারফত যে খবর সংগ্রহ করা গিয়েছে তা থেকে পরিস্কার কমপ্লিমেন্টরি টিকিটও আর বেশি পড়ে নেই। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে ১২ হাজারি স্টেডিয়ামের একটি সিটও ফাঁকা থাকবে না। ওড়িশা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অভিজিৎ পাল বলেছেন, "টিকিটের যা চাহিদা তাতে ঠিক মতো অফিসেই বসতে পারছি না। আসলে রাজ্যের মানুষ আন্তর্জাতিক স্তরের খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তাও আবার বিশ্বকাপ।"
এক নজরে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের বিভিন্ন পরিসংখ্যান
অন্য দিকে, হকির এই শহরে ফুটবল আরও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে ফিফার উদ্যোগে 'ফুটবল ফর অল'- প্রোজেক্ট-এর উদ্বোধন করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আগামী দিনে এই প্রোজেক্টের অধীনে ২০০০ স্কুলকে ৪৩০০০ ফুটবল তুলে দেবে ওড়িশা সরকার। ফিফার এই উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী যেমন সব রকম ভাবে নিজের সাহায্যের হাত বাড়ি দিয়েছেন তেমনই তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে জগন্নাথ ভূমে ফুটবলের প্রসার ঘটাতে এবং এই রাজ্য থেকে আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের একের পর এক সেরা প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে ফিফার সঙ্গে পার্টনারশিপ করার।