ফুটবল ঈশ্বরের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হতে কে না চায়, কফিন খুলে মারাদোনার সঙ্গে ছবি তুলে মৃত্যুভয়ে কাঁপছেন তিন
ফুটবল ঈশ্বরের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হতে কে না চায়, কফিন খুলে মারাদোনার সঙ্গে ছবি তুলে মৃত্যুভয়ে কাঁপছেন তিন
কফিনে বন্দি ফুটবল ঈশ্বরের নিথর দেহ। চিরঘুমে ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা! মাঠে বল পায়ে আজীবন ম্যাজিক দেখিয়েছেন। বাঁ-পায়ের ঐ যাদুর প্রেমে পরেননি, বিশ্বজুড়ে এমন ফুটবলভক্ত খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একাই আর্জেন্তিনাকে ট্রফি এনে দেওয়া, হ্যান্ড অফ গড থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতাব্দীর সেরা গোলের সেই নায়ক আজ আর নেই। মৃত্যুর পর চার দিন কেটে গেলেও, ফুটবল দুনিয়ার কাছে এই সত্যিটা মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন। তাই ভক্তদের কাছে মারাদোনা অমর, ফুটবল শিল্পীর মৃত্যু হয় না, ফুটবল ঈশ্বরের কোনও বিদায় হয় না!
বিদায় বেলায় বিতর্ক
কিন্তু কিংবদন্তির বিদায়বেলায় বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ল না। সৎকারের আগে মারাদোনার মৃতদেহের সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি তুলে দুই অন্ত্যেষ্টিকর্মী বিতর্কে জড়ালেন। সেই ছবি কোনওভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
ফুটবল ঈশ্বরের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হতে কে না চায়
ফুটবল ঈশ্বরের সঙ্গে একটিবার ফ্রেমবন্দি হতে কেন না জান। দিয়েগোর বিদায়বেলার সেই ইচ্ছাপূরণ করতেই মারাদোনার কফিন খুলে নিথর দেহের সঙ্গে তিন অন্ত্যেষ্টিকর্মী ছবি তোলেন। এরপরই ছবি ভাইরাল হতে সমালোচনার ঢেউ।
সৎকারকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি
এমন বুদ্ধিহীনতার কারণে তিন সৎকারকর্মীই চাকরি গিয়েছে। এখানে শেষ নয়, ইতিমধ্যে যাঁরা কফিন খুলে দিয়েগোর সঙ্গে ছবি তোলেন, সেই কর্মীরা এখন প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুভয়ে কাঁপছেন। মারাদোনার শেষকৃত্যের দায়িত্বে থাকা তিন কর্মীকে সাধারণ ফ্যানেরা খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ক্লদিও ফার্নানডেজ বলে এক সৎকারকর্মী জানিয়েছেন যে তিনি ও তাঁর ছেলে ইসমায়েল ও ক্লডিও মেডিনা বলে আরেক কর্মীকে পিনিয়ের ফিউনারেল হোম বরখাস্ত করেছে। সেই সঙ্গে তিন জনেই প্রাণ সংশয়ে রয়েছেন, প্রতি মুহূর্তে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলে তাঁরা জানান।
ফুটবল ঈশ্বরের নক্ষত্রপতন
প্রসঙ্গত বুধবার রাতে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ফুটবলঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনা ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হন। ৩০ অক্টোবর ফ্যানেদের সাক্ষী রেখে ষাটতম জন্মদিন সেলিব্রেট করেছিলেন। এরপর অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। মাথায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার সফল হলে তাঁকে কয়েকদিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে এসে নেশামুক্তির জন্যে রিহ্যাবে ছিলেন মারাদোনা। কিন্তু ২৫ নভেম্বর গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে চিরঘুমে ফুটবল ঈশ্বর।
বিদায়বেলাতেও মারাদোনাকে পিছু ছাড়ল না বিতর্ক, দিয়গোর ডাক্তারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ