গুয়ার্দিওয়ালার ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে ছুটি করে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে লিয়
গুয়ার্দিওয়ালার ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে ছুটি করে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে লিয়
অঘটনের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ! ইউরোপ সেরার এই লড়াইয়ে যে কোন দলই ছোট নয়, তা আরও একবার প্রমাণ হল। ছোট দলগুলোর কাছে কুপোকাত হচ্ছে বড়রা। খাতায় কলমে শক্তিশালী ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে চলে গেল লিয়। ম্যাচে সিটির গুয়ার্দিওয়ালার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে লিয় ৩-১ গোলে ম্যাচ জেতে।
বায়ার্নের প্রতিপক্ষ হিসেবে সেমিতে সবাই সিটিকে ভেবেছিলেন
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সবাই ম্যাঞ্চেস্টার সিটির নামই বলছিলেন। কোথায় দুর্দান্ত দাপুটে সিটি, আর কোথায় কোয়ার্টারে তাদের প্রতিপক্ষ লিয়! কিন্ত সব অঙ্ক পাল্টে দিল ফরাসি দলটি।
সিটির জঘন্য আক্রমণ
শনিবার রাতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মতো বিশ্বের প্রথম সারির দল যে খেলাটা খেলেছে,তা একেবারেই সেমিফাইনালে ওঠার মতো নয়। ৯০ মিনিট ধরে একের পর এক আক্রমণ মিস করে সিটি। ম্যাচের শেষে ৮৬ মিনিট ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ব্যর্থ হন রহিম স্টারলিং। যা দেখে অনেক ফ্যানেরাই বিদ্রূপ করে বলছেন ধ্বংসাত্মক ফর্মে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলতে চেয়েই বোধহয় লিয়র কাছে এমন আত্মসমর্পণ!
পাল্লা দিয়ে জঘন্য ডিফেন্স
শুধু আক্রমণেই নয় পাল্লা দিয়ে ডিফেন্সও ফেল করেছে সিটি। ২৪ মিনিটেই সিটি গোল হজম করে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পরে। লিয়র হয়ে ম্যাক্সওয়েল কর্নেট গোল করেন। গোল করার মুহূর্তে সিটি ডিফেন্সে গোলকিপার ছাড়া প্রতিরোধ তৈরি করার মতো কেউ ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৬৯ মিনিটে দি ব্রুইন গোল শোধ করে সমতা ফেরালেও ৭৯ ও ৮৭ মিনিটে ফের গোল খেলেছে সিটি। পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নেমে দেম্বেলে দুটি গোল করেন। এই সময়ে ম্যাচে ফিরতে একের পর এক আক্রমণ করেও দল গোল পায়নি। কখনও লিয়ন গোলরক্ষকের দুরন্ত রিফেক্সে আক্রমণ প্রতিহত হয়েছে, কখনও আবার নিজেরাই পোস্টের বাইরে মেরে বসেছেন দি ব্রুইন-স্টারলিংরা।
সেমিফাইনাল কবে
বুধবার পিএসজি বনাম লেইপজিগ ও বৃহস্পতিবার বায়ার্ন মিউনিখ বনাম লিয়র মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল ম্যাচ রয়েছে।
কেবল ধোনির জন্যই সম্ভব হয়েছে এমন ঘটনা কিছু ঘটনা দেখে নেওয়া যাক