Lionel Messi: মারাদানাকেও হারিয়ে দিলেন ‘ম্যাজিসিয়ান’ মেসি, বিশ্বকাপের নক-আউটে গড়লেন অনন্য কীর্তি
সৌদি ম্যাচ দেখার পর অনেকেরই মনে হয়েছিল এবারও কি খালি হাতে ফিরতে হবে ফুটবল ঈশ্বরের বরপুত্রকে? এবার কি তিনি সুবিচার পাবেন বিশ্ব-মঞ্চে?
সৌদি ম্যাচ দেখার পর অনেকেরই মনে হয়েছিল এবারও কি খালি হাতে ফিরতে হবে ফুটবল ঈশ্বরের বরপুত্রকে? এবার কি তিনি সুবিচার পাবেন বিশ্ব-মঞ্চে? সেই আশঙ্কা উড়ে পর পর দুটি ম্যাচে কর্তৃত্ব নিয়ে মেক্সিকো আর পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার প্রি-কোয়ার্টারে নক-আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টারে তো পৌঁছেই গেল আর্জেন্টিনা, সেইসঙ্গে মেসি গড়ে ফেললেন অনন্য কীর্তি।
জীবনের হাজারতম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। সেই ম্যাচ তিনি স্মরণীয় করে রাখলেন। একটা গোল করেই তিনি গড়ে ফেললেন একাধিক কীর্তি। প্রথমত এই গোলের মাধ্যমেই তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মারাদোনাকে। বিশ্বকাপে মারাদোনা মোট আটটি গোল করেছিলেন। সেই গোল সংখ্যা ছাড়িয়ে মেসির গোল হয়ে গেল ৯টি। এখন তাঁর সমনে শুধু 'বাতি-গোল' অর্থাৎ বাতিস্তুতা।
শুধু মেসি যে মারাদোনাকে টপকে গেলেন তা নয়, তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক নান্দনিক গোল করে একইসঙ্গে নক আউটে প্রথম গোল করার স্বাদ পেলেন। এতদিন তিনি নক আউট পর্বে কোনও গোল করতে পারেননি। এক আগে ২০১৪ সালে মেসির আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠলেও মেসি নিজে কোনও গোল করতে পারেননি নক-আউট পর্বে। তবে চারটি গোল তিনি করিয়েছিলেন।
২০২২-এর কাতার বিশ্বকাপে মেসি নক-আউটে নিজের গোল খরা কাটিয়ে উঠলেন। বাঁধিয়ে রাখার মতো একটি গোল করে তিনি নিজের স্বাক্ষর রাখলেন বিশ্বকাপের নক-আউটে। এবার প্রশ্ন, মেসিরা তো কোয়ার্টারে পৌঁছে গেলেন, তিনি কি পারবেন আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা মেটাতে। মারিও কেম্পেস, দিয়েগো মারাদোনার পর লিওনেল মেসির হাতে উঠকে কি বিশ্বকাপ?
এর আগে একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও হারেত হয়েছিল জার্মানির কাছে। ভালো খেলেও একটি মাত্র ভুলে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপ, স্বপ্ন অধরাই রয়ে গিয়েছিল। এবার ফের সেই প্রত্যাশা নিয়ে এগোচ্ছেন মেসিরা। পৌঁছে গিয়েছেন শেষ আটে। আর মাত্র তিনটি ম্যাচে জয়ের অপেক্ষা।
এবার কাতারে আর্জন্টিনা খেলতে নেমেছিল ৩৬টি ম্যাচে অপরাজিত তকমা নিয়ে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বরেকর্ডের থেকে দু-ম্যাচ দূরেই থামতে হয়েছিল নীল-সাদা জার্সিধারীদর। তবে সেই হার বিশ্বকাপে তাঁদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। সেই শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি ম্যাচ মেপে মেপে এগোচ্ছে আর্জেন্টিনা। লক্ষ্য এখনও বহূ দূর। সেখানে পৌঁছতে হবে। প্রশ্ন একটাই অর্জুনের মতো লক্ষ্যভেদ করতে পারবেন তো মেসি?