গুরুতর অসুস্থ বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, মহান ফুটবলারকে দেখে এলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
গুরুতর অসুস্থ বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, মহান ফুটবলারকে দেখে এলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
গুরুতর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দিকপাল ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। হাসপাতালে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তিনি খোঁজ খবর নেন বর্ষীয়ান ফুটবলারের স্বাস্থ্যের বিষয়ে।
বদ্রু বন্দ্যোরপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। এই বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিওলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, সাইক্রিয়াটিস্ট, জেনারেল মেডিসিন এবং দুই জন নিউরোলজিস্ট। দীর্ঘ দিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন সময় বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি সারা ভারত জুড়ে পরিচিত বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে। তাঁর মতো ফুটবলার এই দেশে খুব কমই জন্ম নিয়েছে। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বারই ভারতীয় দল অলিম্পিকে সব থেকে ভাল পারফরম্যান্স করে। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল তৎকালীন সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া ভারত।
২০০৬ সালে মোহনবাগান ক্লাব এই মহান দিকপাল ফুটবলারকে মোহনবাগান রত্ন দিয়ে সম্মানিত করেন। মোহনবাগানের জার্সিতে বালির বিখ্যাত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের ছোট ছেলে জিতেছেন ডুরান্ড কাপ, কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড রোভার্স কাপ। ৯২ বছর বয়সী বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটবলার হতে চাননি শুরুর দিকে। তিনি চেয়েছিলেন এক জন চিকিৎসক হয়ে উঠতে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তিন বছর ডাক্তারি পরেও ফুটবলকে বেছে নেন দাদার স্মৃতিকে বুকে নিয়ে। বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা রাধানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বড় মাপের এক ফুটবলার। কিন্তু খেলার মধ্যেই আহত হয়ে দাদা মারা যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতিকে বুকে ধরে বড় ফুটবলার হয়ে ওঠার শপথ নেন এই বাঙালি।
বর্ষীয়াণ ফুটবলারের শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে মোহনবাগান ক্লাবকে জানানো হয়। এর পরই শতাব্দী প্রাচন ক্লাবে উদ্যোগে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
ম্যাচের রাশ হাতে রেখেও হার দিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে অভিযান শুরু করল ভারতীয় দল