পেলেকে টক্কর দেওয়া এমবাপেই ‘সেরা প্রতিভা’, বিশ্বজয়ের পর চ্যালেঞ্জে স্বদেশীয় জিদান
২০ বছর আগে প্রথম বিশ্বজয়ের সাধ পেয়েছিল ফ্রান্স। তখনও জন্ম হয়নি কিলিয়ান এমবাপের। জিদানদের বিশ্বকাপ জয়েরও ছ-মাস পর পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন তিনি।
২০ বছর আগে প্রথম বিশ্বজয়ের সাধ পেয়েছিল ফ্রান্স। তখনও জন্ম হয়নি কিলিয়ান এমবাপের। জিদানদের বিশ্বকাপ জয়েরও ছ-মাস পর পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন তিনি। সেই ১৯ বছরের তরুণ তরতাজা কিলিয়ান এমবাপেই হিরো হয়ে গেলেন ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের। মেসি-রোনাল্ডোদের যুগে উদীয়মান তারকা হিসেবে উঠে এলেন ফ্রান্সের এই ফুটবলার।
রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা প্রতিভা। এখনই তাঁকে তুলনা করা শুরু হয়ে গিয়েছে মেসি-রোনাল্ডোদের সঙ্গে। তাঁর প্রিয় তারকা রোনাল্ডো। আর এবার বিশ্বকাপে তাঁর আত্মপ্রকাশের পর থেকেই তুলনা চলছিল পেলের পর এমবাপেই প্রথম ফুটবলার যিনি আবির্ভাবেই মাঠ মাতিয়ে দিলেন। না, মেসিও পারেননি। পারলেন এমবাপে।
প্রথম বিশ্বকাপেই তিনি চার গোল করে তাক লাগিয়ে দিলেন বিশ্বকে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলে পাঁচটি গোল করেছিলেন। এমবাপে তাঁর থেকে একটি কম। কিন্তু তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ তিনি রেখে গিয়েছেন প্রতি ম্যাচেই। সে মেসিদের বিরুদ্ধে ম্যাচ হোক বা ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ। এমবাপের ঝলক দেখেছে বিশ্ব। একইসঙ্গে পেলের আরও একটি কৃতিত্বে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। আজ পর্যন্ত পেলে ছাড়া প্রথম বিশ্বকাপে একই ম্যাচে জোড়া গোল করতে পারেননি কোনও টিনএজার। তাও করে দেখিয়েছেন এমবাপে। মেসিদের বিরুদ্ধেই তিনি জোড়া গোল করে ছিটকে দিয়েছেন বিশ্বসেরা ফুটবলারের দলকে।
চার বছর বয়সে ফুটবল পায়ে বাবাকে বলেছিলেন তিনি জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলবেন এবং বিশ্বকাপও জিতবেন। তাঁর সেই স্বপ্ন সফল হল প্রথণ বিশ্বকাপেই। এখনও তাঁর সামনে পড়ে আছে পুরো ভবিষ্যৎ। তিনি তাঁর প্রতিভার আলোয় বিশ্বফুটবলকে কতটা আলোকিত করতে পারেন, সেটা ভবিষ্যৎই বলবে। এখন থেকেই অবশ্য জিদানের সঙ্গে তাঁর তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞ তাঁকে জিদানের থেকেও প্রতিভাধর বলে ব্যাখ্যা করছেন এবং বলছেন, সাফল্যের নিরিখে জিদানকেও একদিন টপকে যাবেন এমবাপে।
সদ্য যুবক হয়েছেন, কিন্তু মুখ ও চেহারায় কৈশোরের ভাব এখনও কাটেনি। বল পায়ে পড়লেই ক্ষিপ্র গতিতে বিদ্যুতের ঝলক দেখিয়ে ছুটে যেতে পারেন বিপক্ষ গোলমুখে। এমনকী তাঁর বিস্ময় গতি দেখে তাঁর ফুটবলের উসেই বোল্ট বলতেও শুরু করেছেন অনেকে। তাঁর এই দৌড়ের জন্যই তো মেসির আর্জেন্তিনা বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। বিশ্বকাপকে মেসিহীন করে যতটা বর্ণহীন করেছিলেন তিনি, তা ঢাকলেন তাঁর নিজের বর্ণছটায়। সেটাই বা কম কীসের!