সেমি ও ফাইনাল না খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব জিততে পারে পিএসজি, জেনে নিন কারণ
সেমি ও ফাইনাল না খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব জিততে পারে পিএসজি, জেনে নিন কারণ
প্রায় শেষের পর্বে পৌঁছে গিয়েছে ২০২০-২০২১ মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল পর্ব। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচ ২৯ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সেসব ধাপ না অতিক্রম না করেই খেতাব জিততে পারে নেইমার, এমবাপের প্যারিস সেইন্ট জের্মেইন বা পিএসজি। এর পিছনে রয়েছে কোন কারণ, তা জেনে নিন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে কোন কোন দল
২৮ এপ্রিল থেকে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল শুরু হওয়ার কথা। প্রথম দিন প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে চেলসির মুখোমুখি হওয়ার কথা রিয়াল মাদ্রিদের। ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মুখোমুখি হওয়ার কথা পিএসজি-র। পাঁচ ও ছয় মে দুই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ (বিপরীত অভিমুখে) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে সব ভাবনা এবং পরিকল্পনা তছনছ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিষিদ্ধ হতে পারে তিন দল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সমান্তরাল ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করতে চলেছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি নামীদামী ক্লাব। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নামক ওই টুর্নামেন্ট আগামী অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে বলে খবর। আর তাতেই চটে রয়েছে উয়েফা। ইউরোপের যে যে ক্লাব ওই লিগে অংশ নেবে, তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিন দলই ইউরোপিয়ান সুপার লিগে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন হতে পারে পিএসজি
বর্তমান পরিস্থিতিতে উয়েফার কাছে অন্ধের যষ্ঠী নেইমার ও এমবাপের পিএসজি। কারণ তারা এখনও পর্যন্ত ইউরোপিয়ান সুপার লিগে খেলার কোনও সংকেত দেয়নি। সেক্ষেত্রে ফরাসি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেক বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা। কারণ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছনো বাকি তিন ক্লাবকে সুপার লিগ নিয়ে বিতর্কে সেমিফাইনাল নাও খেলতে দেওয়া হতে পারে।
কেন এই সুপার লিগ
এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী অগাস্ট থেকে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু করার কথা রয়েছে। সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলি হওয়ার কথা রয়েছে। লিগ ২০ দলের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে খবর। ১৫টি ক্লাব ইসিএলের প্রতিষ্ঠিত সদস্য হতে পারে। যেখানে এক একটি বিভাগে দশটি করে দল হোম এবং অ্যাওয়ে ফর্ম্যাটে ফুটবল খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতোই নক আউট পর্ব শেষে কোনও এক নিরপেক্ষ মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের থেকে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করবে ইসিএল। তাতে ফুটবলাররাও উপকৃত হবে বলে দাবি করা হয়েছে। তার আগে ফুটবলের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং অতিমারী পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াইয়ের স্বার্থে ইউরোপের ক্লাবগুলি সম্মিলিতভাবে ৩.৫ বিলিয়ন ইউরো খরচ করার কথা জানিয়েছে।