আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স, ১-১ গোলে ড্র ছিটকে দিল জামশেদপুরকে
আইএসএলের প্রথম সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হতেই ফাইনালে পৌঁছে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি, ছিটকে গেল জামশেদপুর এফসি। এবারের লিগ শিল্ড-জয়ীদের প্রথম লেগে ১ গোলে হারিয়েছিল কেরালা। এদিনের ম্যাচে ১৮ মিনিটের মাথায় গোল করে কেরালাকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়ান লুনা। ৫০ মিনিটে সমতা ফেরান প্রণয় হালদার।
প্রথমার্ধে যোগ্য দল হিসেবেই বিরতিতে গোলপার্থক্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। তাদের তাগিদ অনেকটাই বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে প্রথম ৪৫ মিনিটে। যেভাবে কেরালা আক্রমণের ঝড় তুলছিল তাতে প্রথমার্ধেই ২-৩টি গোল হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। জামশেদপুরের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল তারা চাপ কাটিয়ে উঠতে পারছে না। ড্যানিয়েল চিমা চুকউ একবার বল জালে জড়ালেও অফ সাইডের কারণে তা বাতিল হয়। সুযোগ তৈরির থেকে বেশি ফাউল করতে থাকে জামশেদপুর। ১৮ মিনিটের মাথায় কেরালার হয়ে লুনা গোলটি করেছিলেন আলভারে ভাসকুয়েজের থেকে বল পেয়ে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাশিতভাবেই অন্য মেজাজে ধরা দেয় জামশেদপুর এফসি। গোল শোধের মরিয়া প্রয়াস ছিল। তবে শোধ করলেই হতো না, আর একটি গোল হজম না করে দুটি গোল করতে হতো খেলাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে। অর্থাৎ গোলপার্থক্যে সমতা ফেরাতে দ্বিতীয়ার্ধে জামশেদপুরের দরকার ছিল ২টি গোল। ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় জামশেদপুর এফসি। গ্রেগ স্টুয়ার্টের অনবদ্য ক্রস থেকে কাজের কাজ করতে পারেননি চিমা, তবে বল পেয়ে যান প্রণয়। যেখানে তিনি বলটা পেয়েছিলেন, সেখান থেকে গোল মিসের প্রশ্নই ছিল না, হয়ওনি। প্রণয়ের গোল অক্সিজেন পায় জামশেদপুর।
যদিও এই গোলের পরই কেরালা ব্লাস্টার্সও ফের আক্রমণের কৌশল অবলম্বন করে। তবে গোলমুখ খুলতে পারেনি। ভাসকুয়েজের চিপ রুখে দেন জামশেদপুরের গোলরক্ষক টিপি রেহনেশ। কয়েকটি ফ্রি কিক থেকে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল জামশেদপুর, কিন্তু বল তিনকাঠিতে রাখতে পারেননি ফুটবলাররা। সতর্ক ছিল কেরালার রক্ষণ, এমনকী গোলকিপার প্রভসুখন গিলকেও তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি স্টুয়ার্ট, চিমারা। শেষ ১০ মিনিটে কয়েকটি হাফ চান্স তৈরি করেছিলেন স্টুয়ার্ট, কিন্তু তা জামশেদপুরকে আইএসএল অভিযান শেষ হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ২০ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিল্ড জিতে সেমিফাইনালে ওঠা জামশেদপুরকে ছিটকে দিয়ে ফাইনালে চলে গেল চতুর্থ স্থানে থেকে সেমিফাইনালে ওঠা এবং উদ্বোধনী ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের কাছে পরাস্ত কেরালা।