নাটকীয় ম্যাচে হারের মুখ থেকে ফিরেও সন্তোষ-জয় অধরা, টাইব্রেকারে লজ্জা উপহার বাংলার
নাটকের পর নাটক। তবু অধরা সন্তোষ ট্রফি। বাংলার ৩৩ বার সন্তোয জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল কেরল গোলরক্ষকের কীর্তিতে। দুটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে সন্তোষ ফাইনালে তিনিই নায়ক।
নাটকের পর নাটক। তবু অধরা সন্তোষ ট্রফি। বাংলার ৩৩ বার সন্তোয জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল কেরল গোলরক্ষকের কীর্তিতে। দুটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে সন্তোষ ফাইনালে তিনিই নায়ক। বাংলার মঞ্চে খেল দেখিয়ে কেরল ঘরে নিয়ে গেল ভারত সেরার ট্রফি। কোচ রঞ্জন চৌধুরীর ছেলেদের রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল এবারও।
অথচ নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ম্যাচে ফিরে এসেছিল বাংলা। প্রথমার্ধের ২৬ মিনিটে গোল করে কেরলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জিথিন এমএস। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে গোল শোষ দরে একবার বাংলাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জিতেন মুর্মু। আর দ্বিতীয়বার অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রিকিক থেকে অনবদ্য গেল করে বাংলার নিশ্চিত মতন রোখেন তীর্থঙ্কর। কারণ অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হতে তখন আর মাত্র ১ মিনিট বাকি। বাংলা হারছে ১-২ গোলে। তীর্থঙ্কের গোল লাইফ লাইন দেয় বাংলাকে।
[আরও পড়ুন: এক পাঞ্চে নকআউট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, হেভিওয়েটের তিনটি খেতাব এখন জোশুয়ার পকেটে]
তখন মনে হয়েছিল এবার নিশ্চয় বাংলার ভাগ্যেই নাচছে সন্তোষ ট্রফি। নইলে নিশ্চিত হারের মুখ থেকে এভাবে ফিরে আসা যায় না। কিন্তু টাইব্রেকার শুরু হতেই বাংলার ভাগ্য লেখা হয়ে গেল। বাংলার প্রথম দুটি শটই বাঁচিয়ে দিয়ে ম্যাচর নায়ক বনে গেলেন কেরল গোলরক্ষক।
যখন একটি গোল করলেই কেরলের মাথাতেই উঠবে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, তখনই বাংলা নাটকীয়ভাবে গোলকিপার বদল করে। স্ট্রাইকার থেকে গোলকিপার বনে যান জিতেন মুর্মু। এসব করেও কেরলকে দমিয়ে রাখা যায়নি। টাইব্রেকারে চারটি শটেই গোল করে কেরল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় এবার সন্তোষে। বাংলায় ভাগ্যে তাই এবারও শিকে ছিঁড়ল না।