ISL: টাইব্রেকারে তিন শট রুখে নায়ক কাট্টিমণি! কেরালাকে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি
চলতি বছর আইএসএল পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৬ সালের পর ফের টাইব্রেকারের মাধ্যমেই নির্ধারিত হলো আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের আইএসএলে ফাইনালে উঠেও এটিকের কাছে পরাস্ত হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। হায়দরাবাদ এফসি এবারই প্রথম আইএসএল ফাইনাল খেলল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় খেলার ফল ছিল ১-১। অবশেষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে বাজিমাত হায়দরাবাদের। তিনটি শট রুখে দিয়ে নায়ক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি। ফতোরদার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এদিন ফাইনাল দেখলেন সাড়ে ১১ হাজার ফুটবলপ্রেমী।
𝐇𝐄𝐑𝐎 𝐈𝐒𝐋 𝐂𝐇𝐀𝐌𝐏𝐈𝐎𝐍𝐒 🏆
— Indian Super League (@IndSuperLeague) March 20, 2022
A special night for @hyderabadfc as they top off their brilliant campaign by securing the #HeroISL trophy, after defeating Kerala Blasters FC in a penalty shootout! 👏#HFCKBFC #HeroISLFinal #FinalForTheFans #LetsFootball #HyderabadFC pic.twitter.com/RqhKTnMrp9
|
এবারের আইএসএলে
চলতি আইএসএলে লিগ পর্ব থেকে হায়দরাবাদ এফসি ও কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি সেমিফাইনালে উঠেছিল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করে। লিগ শিল্ডজয়ী জামশেদপুর এফসিকে হারিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্স এবং এটিকে মোহনবাগানের আশায় জল ঢেলে হায়দরাবাদ এফসি ফাইনালে ওঠে। এবারের আইএসএলে প্রথম সাক্ষাতে কেরালা ব্লাস্টার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছিল ১-০ গোলে। ফিরতি সাক্ষাতে হায়দরাবাদ ২-১ গোলে হারিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সকে।
|
প্রথমার্ধ গোলশূন্য
এদিনের ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। আক্রমণ তুলে আনার নিরিখে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি অনেকটা এগিয়ে থাকলেও হায়দরাবাদের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। আদ্রিয়ান লুনা, আলভারো ভাজকেজ ও জর্জ দিয়াজের যুগলবন্দিই কেরালার হয়ে একাধিক সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু গোলমুখ খোলেনি। ৩৯ মিনিটে ভাজকেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। বিরতির ঠিক আগে জেভিয়ার সিভেরিওর হেড দারুণভাবে বাঁচান কেরালার গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল।
|
দ্বিতীয়ার্ধে ১-১
বিরতির পর অবশ্য কেরালাকে কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় হায়দরাবাদ। ৫৫ মিনিটে বার্থোলোমিউ ওগবেচের একটি প্রয়াস অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৮ মিনিটে রাহুল কেপির গোলে এগিয়ে যায় কেরালা। জ্যাকসন সিংয়ের থেকে বল পেয়ে যে শটটি রাহুল নেন, তাতে হাত ছোঁয়াতে পারলেও গোল বাঁচাতে পারেননি হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণি। ৭৬ মিনিটে ওগবেচের আরেকটি প্রয়াস রুখে দেন কেরালার গোলকিপার। কেরালা যখন আর কয়েক মিনিট পেরোলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছে তখনই সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ এফসি। তার ঠিক আগেই ৮৬ মিনিটের মাথায় খাসা কামারা নামতেই হায়দরাবাদের খেলায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ৮৮ মিনিটের মাথায় সাহিল তাভোরার দর্শনীয় গোলের সৌজন্যে।
|
অতিরিক্ত সময়েও বদলায়নি স্কোরলাইন
নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ১-১ থাকায় ম্য়াচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করায় হায়দরাবাদের আত্মবিশ্বাস বাড়লেও অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে দাপট দেখায় কেরালাই। একটি শট পোস্টে লেগেও ফিরে আসে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ওগবেচের গোলমুখী শটে গোলকিপার গিল পরাস্ত হলেও বল গোললাইন পার হওয়ার ঠিক আগে অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচান মার্কো লেসকোভিচ। লুনা, চেঞ্চোরাও গোলের জন্য মরিয়া প্রয়াস চালান কিন্তু অতিরিক্ত সময়েও খেলার ফল ১-১ থাকে।
|
কাট্টিমণিই জেতালেন হায়দরাবাদকে
টাইব্রেকারে কেরালা ব্লাস্টার্স প্রথম শট নিতে যায়। মার্কো লেসকোভিচের শট রুখে দেন কাট্টিমণি। জোয়াও ভিক্টর হায়দরাবাদ এফসিকে এগিয়ে দেন। এরপর নিশু কুমারের শট প্রথমবার রুখে দেন তিনি। কিন্তু লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় এটি রি-কিক হয়। ফের নিশুর শট বাঁচিয়ে দেন কাট্টিমণি। কাট্টিমণি দুটি শট রুখে দেওয়ার পর হায়দরাবাদের সিভেরিও বল বাইরে মেরে বসেন। কেরালার হয়ে বল জালে জড়ান আয়ুষ অধিকারী। হায়দরাবাদের খাসা কামারা এরপর গোল করেন। টাইব্রেকারে এরপরই তৃতীয় শটটি রুখে দেন কাট্টিমণি। জিকসন সিং গোল করতে ব্যর্থ হন। হোলিচরণ নার্জারির গোলেই টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ আর সেই সঙ্গেই তাদের খেতাব জয় নিশ্চিত হয়।