জয় অধরা , নেশনস লিগে আটকে গেল ইতালি
Array
ইউরো জিতেও সময় ভালো যাচ্ছে না ইতালির। ইউরো জয়ের পরেই ২০১৮ বিশ্বকাপের পর ফের ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি চার বারের বিশ্বজয়ীরা। এবার পর পর দুটো ম্যাচে দুটো বড় দলের হয়ে জয় অধরাই থাকল। প্রথমে তাঁরা ৩ -০ গোলে হারল আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। আর্জেন্টিনা ফিনালিজমা জিতে নেয়। এবার তাঁরা ড্র করল জার্মানির বিরুদ্ধে। নেশনস লিগে তাঁরা এই ম্যাচ শেষ করল ১-১ গোলে ড্র করে। না হারলেও জয় থাকল অধরা।
উয়েফা নেশনস লিগ চলছে, কিন্তু বড় দলগুলো খুব হতাশাজনক ভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড হেরেছে প্রায়। প্রায় ৪০ বছর পর এই হার। স্পেন-পর্তুগালের ড্র করেছে। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়া হেরেই গিয়েছে। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দি ব্রুইনে লুকাকুদের বেলজিয়াম হেরে গিয়েছে। ফ্রান্সের মতো শক্ত দল গতবারের বিশ্বজয়ীরা হেরে গিয়েছে ডেনমার্কের কাছে। তুলনায় ইতালির ফল অবশ্য ভালো। কারণ তাঁরা বড় দলের বিরুদ্ধে খেলেও হেরে যায়নি।
ফিনালিসিমা ফাইনাল হারের পর জিততে নেমেছিল মানচিনির দল। প্রথমে গোল করে এগিয়েও যায় তাঁরা। কিন্তু সময় ভালো না গেলে যা হয়। লাভের লাভ কিছু হয়নি। গোল করে ম্যাচে ফিরে আসে জার্মানি। ম্যাচ শেষ হয় এক-এক গোলে। লরেঞ্জো পেলিগ্রিনি ইতালির হয়ে গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন। জার্মানিকে সমতায় ফেরান কিমিচ।
যদিও এদিনের ম্যাচে দলের বাইরে ছিলেন বোনুচ্চি, জর্গিনহো, এমারসন, বেলোত্তি চিলেনিরা। মানে বড় প্লেয়াররা অনেকেই খেলেননি। সবাই বিশ্রামে ছিলেন। জার্মানরা পুরো দল নামিয়েছিল। ওয়ার্নার, কিমিচ, সানে, গ্য়ানাব্রি,মুলারের মতো তারকারা ম্যাচ খেলেন। ইতালি চিরকালই ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে। এদিনেও তার অন্যথা হয়নি। কাউন্টার অ্যাটাক গেম খেলার চেষ্টা করে ইতালি। একদিক জার্মানির একের পর এক আক্রমণ। ৭০ শতাংশ বল তাঁদের দখলে। এভাবে এক দিক আটকে রাখা খুব শক্ত। সেটা করেছিল ইতালি। প্রথম অর্ধে গোল করতে তো দেয়নি জার্মানিকে। উল্টে পরের অর্ধে গোল করে দেয় ইতালি।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে পেলিগ্রিনি এগিয়ে দেন ইতালিকে। দ্রুত সমতা ফেরায় জার্মানি। ৭৩ মিনিটে জার্মানিকে সমতায় ফেরান জসুয়া কিমিচ। নাকি ১৭ মিনিট আপ্রান চেষ্টা করে দুই দল। কড়া ডিফেন্স করে দুই দলের ডিফেন্ডাররাই। উভয় দিকের জালেই আর বল জড়ায়নি। ১-১ গোলে শেষ হয় হাই ভোল্টেজ ম্যাচ।