ভালসকিসের পাল্টা মরিসিওর দুরন্ত গোল, পিছিয়ে থেকে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য কামব্যাক ওড়িশার
ভালসকিসের পাল্টা দিয়েগো মরিসিওর দুরন্ত গোল, জোড়া গোলে পিছিয়ে থেকে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য কামব্যাক ওড়িশার
গত বছর আইএসএলে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন শুরু জামশেদপুর এফসির ভালসকিসের। শেষবার চেন্নাইয়ানের হয়ে ১৫ ম্যাচে ২০ গোল করে সোনার বুট জিতেছিলেন। এবার দুই ম্যাচে মাঠে নামেই ৩ গোল ভালসকিসের। এদিন তিলক ময়দানে ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দুটি গোল লিথুয়ানিয়ার স্ট্রাইকারের।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে এসে দিয়েগো মরিসিও ২টি গোল করে শেষ পর্যন্ত ওড়িশাকে ম্যাচে ফেরান। ম্যাচ ২-২ ব্যবঝানে শেষ হয়। তিলক ময়দান থেকে দুই দল ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচে এদিন প্রথমার্ধে পোনাল্টি থেকে গোল করেন ভালসকিস। ম্যাচের ১২ মিনিটে ওড়িশার বক্সে জটলা থেকে ভালসকিস স্কুপ করে তেকাঠিতে বল রাখেন। তখনই বক্সের ভিতর বল বিপক্ষ দলের গৌরব বোরার হাতে লাগলে রেফারি পোনাল্টির সিদ্ধান্ত শোনায়।
এই বিপদ থেকেই মাথা ঠান্ডা করো গোল ভালসকিসের। ওড়িশার গোলকিপার কমলজিৎ সিংকে বোকা বানিয়ে গোল করে যান তিনি। কেন তিনি গত মরসুমে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার, প্রথমার্ধে দ্বিতীয় গোলটি করে নিজের জাত চিনিয়ে দেন ভালসকিস। 'ফক্স ইন দ্য বক্স' নামে পরিচিত এই স্ট্রাইকার ২৭ মিনিটে চকিতে বাঁ পায়ের শটে, রক্ষণের দুর্বলতা থেকে পুস করে জামশেদপুরকে ২-০ এগিয়ে দেন।
প্রথম ম্যাচে প্রাক্তন ক্লাব চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হেডে গোল করেছিলেন। এদিন দুটি গোল করে ২ ম্যাচ শেষে ভালসকিসের গোল সংখ্যা ৩। ফলে শুরু থেকেই, গত মরসুমের মতো রয় কৃষ্ণ'র সঙ্গে ভালসকিসের সোনার বুট পাওয়ার লড়াই জমে গেল।
প্রথমার্ধে ভালসকিসের জোডা় গোলে দল এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত জামশেদপুরের ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া হল না। দ্বিতীয়ার্ধে গোলকিপার রেহেনেশ বক্সের বাইরে হাত দিয়ে বল ধরলে, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে জামশেদপুর ১০ জনে পরণিত হয়। এখান থেকে ম্যাচে ফেরে ওড়িশা।
০-২ গোলে পিছিয়ে থেকে ৭৭ মিনিটে দুরন্ত গোল দিয়েগো মরিসিও-র। ভালসকিসের জোড়া গোলের জবাব দেন তিনি। ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে তোকাঠিতে রেখেছিলেন। বল পোস্টে লেগে ফিরে এলেও হাল ছাড়েনি দিয়েগো। ফিরতি বল শেষ পর্যন্ত জ্বালে জড়িয়ে দলের হয়ে ব্যবধান কমান।
শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে ৯৩ মিনিটে বক্সের ভিতর থেকে ডান হাতের কামান দাগা শটে সাইড নেটে বল রাখেন মরিসিও। তাঁর দ্বিতীয় গোলে শেষ পর্যন্ত ২-২ স্কোরলাইনে ওড়িশা, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সমতা ফেরায়।