কেরালাকে উড়িয়ে ফর্মে ফিরল বেঙ্গালুরু, পেনাল্টি হাতছাড়া করলেও স্কোরশিটে নাম লেখালেন সুনীল
কেরালাকে উড়িয়ে ফর্মে ফিরল বেঙ্গালুরু, পেনাল্টি হাতছাড়া করলেও স্কোরশিটে নাম লেখালেন সুনীল
সপ্তম আইএসএলে এই প্রথমবার বল পায়ে জ্বলে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি। গোয়ার ফতোরদায় এদিন কেরালা ব্লাষ্টার্সের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে বড় জয় সুনীল ছেত্রীদের। ম্যাচে এদিন পেনাল্টি মিস করলেও বেঙ্গালুরুর হয়ে ৬৫ মিনিটে শেষ গোলটি করে কেরালার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন সুনীল। এই জয়ের ফলে বেঙ্গালুরু ৫ ম্যাচ থেকে ২টি জয় ও ৩টি ড্রয়ের পর, ৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে স্থানে উঠে এল।
এদিন শুরুতে অবশ্য বেঙ্গালুরু ১৩ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পরে। ডেডবল থেকে বল পেয়ে গ্যারি হুপার প্রায় ৭০ মিটারের দুরন্ত রানের পর মাপা সেন্টারে রাহুল কেপিকে বল বাড়ান। সেই পাস থেকেই দেশের এক নম্বর গোলকিপার গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে রাহুল গোল করেন। ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার দেশের এক নম্বর গোলকিপারকে গুরপ্রীতকে এদিন নিজের সেরা ফর্মে পাওয়া যায়নি। তাঁর হাত গলে বল জালে জড়ায়।
তবে ম্যাচে ফিরতে বেঙ্গালুরু অবশ্য বেশি সময় নেয়নি। প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটে রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে লালরুয়াথারা ভুল শট নেন। কেরালা রক্ষণভাবে বলে জোরালো কিক করতে গিয়ে মিস করে বসেন তিনি। যার সুবাদে বল পেয়ে গোল করে ক্লেইটন সিলভা বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরান। ফলে প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচের ফল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে এরপর আক্রমণের ঝড় বেঙ্গালুরুর। কেরালার হয়ে বাকারি কোনে বক্সের মধ্য়ে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। সেই পেনাল্টি থেকে শট নিলেও গোল মিস সুনীলের।
এরপরই ৫১ মিনিটে কেরালার রক্ষণের ভুলে বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় গোল। স্কোরশিটে নাম লেখান কৃষ্ণন অফসেট। দুমিনিটে মাথাতেই এরপর দিমাসের (৫৩ মিনিট) গোল। ৬১ মিনিটে পাল্টা ভিসেন্তে গোমাজের গোলে কেরালা ব্যবধান কমালেও শেষরক্ষা হয়নি। ৬৫ মিনিটে দুরন্ত হেডে গোল সুনীলের। এই গোলেই স্কোরলাইন ৪-২ করে ম্যাচ জিতে নেয় বেঙ্গালুরু।