isl 2020 21 mumbai city fc fc goa football football news sports আইএসএল ২০২০ ২১ মুম্বই সিটি এফসি এফসি গোয়া ফুটবল খেলা
আইএসএলের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৪ গোল, ফাইনালে পৌঁছতে মুম্বই-গোয়ার সামনে সহজ সমীকরণ
চলতি আইএসএলের প্রথম সেমিফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি ও এফসি গোয়ার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ও আধুনিক ফুটবল দেখে মুগ্ধ হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। পাসিং ফুটবলে ভর করে ম্যাচে দুই বার এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিততে পারল না গোয়া। অন্যদিকে গতিশীল ফুটবলে ভর করে ম্যাচ ড্র করে দ্বিতীয় লেগের আগে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ল মুম্বই। ফলাফল ২-২। ফাইনালে উঠতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে যে কোনও দলকে অন্তত এক গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে।

ম্যাচের প্রথম থেকেই মুম্বই সিটি এফসি ও এফসি গোয়ার মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই শুরু হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে গোলের খুব কাছে পৌঁছে যায় দুই দল। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে মুম্বই সিটি এফসি। উল্টে দুর্দান্তভাবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এফসি গোয়া। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় আইএসএলের আয়োজক শহর। স্পট কিক থেকে গোল দিতে ভুল করেননি ইগর আনগুলো। চলতি প্রতিযোগিতায় ১৪তম গোল করে এটিকে মোহনবাগান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণের সমান হলেন স্প্যানিশ তারকা। সোনালী বুটের আরও কাছে পৌঁছলেন এফসি গোয়ার স্ট্রাইকার।
এক গোলে পিছিয়ে থাকাটা অপমান হিসেবে নিয়ে নেয় প্রতিযোগিতায় ধারেভারে এগিয়ে থাকা মুম্বই সিটি এফসি। প্রথমার্ধের শেষ ২৫ মিনিটে এফসি গোয়ার গোলমুখে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেন অ্যাডাম লে ফনড্রে, বার্থালোমেউ ওগেবেছেরা। একবার তো গোলরক্ষক ধীরজ সিংয়ের তৎপরতায় নিশ্চিত পতনের হাত থেকে বাঁচে গোয়া। আদিল খানের ডাকাবুকো ব্লকিংয়ে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে মুম্বই। যদিও সেই সময় মাথায় বেশ ভালই চোট পান এফসি গোয়ার ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে এফসি গোয়ার গোলমুখে আক্রমণে আরও চাপ বাড়ায় মুম্বই সিটি এফসি। ফলস্বরূপ ৩৮ মিনিটের মাথায় খেলায় সমতা ফেরায় অভিনেতা রনবীর কাপুরের দল। গোল করেন হুগো বউমোস।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় দুই দলই। একে অপরের গোলমুখে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে এফসি গোয়া ও মুম্বই সিটি এফসি। প্রথম সুযোগ আসে হোম টিমের কাছে। ৫৯ মিনিটে গোল করে ফের গোয়াকে এগিয়ে দেন সেভিয়র গামা। যদিও সেই গোলের ব্যবধান বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬১ মিনিটে হেড থেকে গোল দিয়ে খেলায় সমতা ফেরান মুম্বইয়ের মউরতাদা ফল।
ম্যাচে দুই দলের কাছেই ৫০ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ থাকে। নিজেদের মধ্যে প্রায় চারশোটি পাস খেলে এফসি গোয়া। প্রায় সাড়ে তিনশো পাস খেলে মুম্বই সিটি এফসি। গোলমুখে ১২টি শট মারে গোয়া। ১৩টি শট আসে মুম্বই শিবিরের তরফ থেকে।