আইএসএল ২০২০-২১ : শক্তিশালী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া এসসি ইস্টবেঙ্গলের
আইএসএলের অতি গুরুত্বপূ্র্ণ ম্যাচে শক্তিশালী হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা করতে পারল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। একবারে শেষ মুহুর্তে গোল খেয়ে ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল লাল-হলুদকে। জলে গেল ব্রাইট এনোবাখারের চোখ জুড়ানো গোল। ১-১ ফলাফলে শেষ হয় ম্যাচ।


জিততে মরিয়া দুই দলই ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকে আক্রমণে ঝড় তোলে। কাঁটায় কাঁটায় চলতে থাকে মোকাবিলা। বেশ কয়েকবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলে দুই দল। তালমিলের অভাব এবং বোঝাপড়ার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ও হায়দরাবাদ এফসির ফুটবলাররা। একটি ওয়ান টু ওয়ান পজিশন থেকে হায়দরাবাদ ফরোয়ার্ড আরিদানে সান্টানার পা থেকে বল ছিনিয়ে নেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক সুব্রত পাল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় দুই দলই। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের মধ্যে বেশি বোঝাপড়া পরিলক্ষিত হয়। মূলত প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেললেও আন্টোনি পিলকিংটন, জ্যাকুয়াস মাঘোমাদের গতির কাছে বারবার শক্তিশালী হায়দরাবাদ ডিফেন্সের রাশ আলগা হতে দেখা যায়। সেই সুযোগ নিয়ে ৫৯ মিনিটে দু্র্দান্ত একটি থ্রু বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে একক দক্ষতায় গোল করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ব্রাইট এনোবাখারে।
এক গোলে পিছিয়ে পড়া হায়দরাবাদ ম্যাচে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। পাল্টা আক্রমণে উঠে আরও দুই থেকে তিন বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গলও। ৮২ মিনিটে আরও একবার গোলের খুব কাছে পৌঁছে যান ব্রাইট। হায়দরাবাদের গোলরক্ষক তাঁকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেও পেনাল্টি না পাওয়ায় রেফারির সিদ্ধান্তে অখুশি হয় কলকাতার দল। তবে হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না হায়দরাবাদও। ম্যাচের শেষ মিনিটে গোল দিয়ে ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় নিজামের শহর। গোল দেন অধিনায়ক আরিদানে সান্টানা।
ম্যাচে ৫০ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে সক্ষম হয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। গোলমুখে ৮টি শট মারে লাল-হলুদ। তার মধ্যে পাঁচটি শট টার্গেটে রাখতে পেরেছেন ব্রাইট, পিলকিংটনরা। ১৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এল হায়দরাবাদ এফসি। ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল তালিকার নবম স্থানেই দাঁড়িয়ে রইল লাল-হলুদ।