isl 2020 21 east bengal odisha fc football football news sports আইএসএল ২০২০ ২১ ইস্টবেঙ্গল ওড়িশা এফসি ফুটবল খেলা
আইএসএলের রেকর্ড গোলের ম্যাচেও ওড়িশার কাছে ৬-৫ ব্যবধানে হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের
আইএসএলে ইতিহাস। ১১ গোলের বন্যায় ভাঙল টুর্নামেন্টের সর্বকালের রেকর্ড। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ৬ গোল করেছে ওড়িশা এফসি। পাল্টা হিসেবে ৫ গোল দিল পারেনি লাল-হলুদ। ঐতিহাসিক ম্যাচ হেরেই আইএসএল অভিযান শেষ করতে হল রবি ফাওলারের দলকে।

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়। ওড়িশা এফসি-র থেকে আক্রমণে বেশি ওঠে এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষের গোলমুখে সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন ব্রাইট এনোবাখারে, জ্যাকুয়াস মাঘোমারা। অন্যদিকে মূলত প্রতি আক্রমণ নির্ভর রণনীতিতে এক-দুই বার গোল করার মতো অবস্থায় পৌঁছে যায় ওড়িশা এফসিও। তবে গোল করতে পারেনি ওড়িশা।
ইতিমধ্যে আক্রমণে চাপ বাড়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার গোলমুখে একের পর এক পজিটিভ মুভ তৈরি করে লাল-হলুদ। দুর্দান্ত বোঝাপড়ার জেরে ম্যাচের ২৪ মিনিটে গোল করেন আন্টোনি পিলকিংটন। লাল-হলুদ ফরোয়ার্ডের জোরালো শট আটকাতে পারেননি ওড়িশা এফসি-র গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে গোল শোধ দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করে ওড়িশা। ৩২ মিনিটের মাথায় কর্নার পেয়ে যায় পিছিয়ে থাকা দল। সেট পিস থেকে গোল দিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা এফসি-র লালরেজুয়ালা সাইলুং।
এরপর ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়। তিন মিনিট পর ফের আক্রমণে উঠে কর্নার পেয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। চাপ সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী গোল দিয়ে লাল-হলুদকে ফের এগিয়ে দেন ওড়িশা এফসি-র ডিফেন্ডার রবি কুমার। ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষে মাঠ ছাড়ে রবি ফাওলারের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে খেলার ধরনে আমুল পরিবর্তন আনে ওড়িশা এফসি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোলমুখে একের পর এক তুলে আনতে থাকেন দিয়েগো মউরিসিওরা। অন্যদিকে চাপে পড়ে একের পর এক ভুল করতে থাকেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা। তারই সুযোগ নিয়ে ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ওড়িশা এফসি-র হয়ে গোল শোধ দেন পল। ৫১ মিনিটে ওড়িশা এফসি-র হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়াব জেরি। তেকাঠির নিচে বোকা বনে যান অভিজ্ঞ সুব্রত পাল।
ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫৯ মিনিটে দূরপাল্লার শট থেকে বিশ্বমানের গোল দেন আমাদি। এরপরের ১৫ মিনিট খেলায় প্রভাব বিস্তার করে ওড়িশা এফসি। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে নিচের সারির দলের হয়ে ৬৫, ৬৭ এবং ৬৯ মিনিটে গোল করেন যথাক্রমে পল, জেরি ও দিয়েগো মউরিসিও। প্রতিক্ষেত্রেই কার্যত নীরব দর্শকের মতো গোল হজম করেন লাল-হলুদের গোলরক্ষক সুব্রত পাল।
৬-৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে যায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৭৪ মিনিটে দুর্দান্ত একটি মুভ থেকে লাল-হলুদের হয়ে আরও একটি গোল শোধ দেন জেজে। এরপর আক্রমণে গতি বাড়ায় কলকাতার ক্লাব। ম্যাচের একদম শেষ মুহুর্তে লাল-হলুদের হয়ে পঞ্চম গোলটি দেন আমাদি।