আইএসএল ২০২০-২১ : নড়বড়ে ডিফেন্সের দোসর হায়দরাবাদের গতি, ফের হেরে মাঠ ছাড়ল এসসি ইস্টবেঙ্গল
আইএসএল ২০২০-২১ : নড়বড়ে ডিফেন্সের দোসর হায়দরাবাদের গতি, ফের হেরে মাঠ ছাড়ল এসসি ইস্টবেঙ্গল
নিজেদের নড়বড়ে ডিফেন্স এবং ভোঁতা মাঝমাঠের দৌলতে আরও একবার হেরেই মাঠ ছাড়তে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। শুরু থেকে হায়দরাবাদ এফসি-র গতির কাছে হার মেনে শেষ মুহূর্তে অল আউট আক্রমণে গিয়েও কল্কে পায়নি রবি ফাওলারের দল। আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে পরাজয় স্বীকার করে লিগ তালিকার সর্বশেষ অর্থাৎ ১১তম স্থানেই দাঁড়িয়ে রইল লাল-হলুদ।
যদিও আইএসএলে গোল খরা দূর হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে টুর্নামন্টের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের মূল্যবান দুটি গোল দেয় লাল-হলুদ। নিজেদের প্রথম আইএসএলে থেলতে নেমে ৩৮৫ মিনিট গোলহীন ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৩৮৬তম মিনিটে কাঙ্খিত গোল দিয়ে শাপমোচন করে রবি ফাওলারের দল। ম্যাচের ২৬ মিনিটে অধিনায়ক আন্টোনি পিলকিংটনের দুর্দান্ত পাস জালে জড়াতে ভুল করেননি মাঘোমা। যদিও খেলার গতি শুরু থেকেই ছিল হায়দরাবাদ এফসির দখলে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ও মাঝমাঠের বোঝাপড়ার অভাবের সুযোগ নিয়ে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে আরিদানে সান্তানা শিবির।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫৫ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখে হায়দরাবাদ এফসি। ৪৫ শতাংশ বলের দখল থাকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। আটটি শট নেয় আরিদানে সান্টানা শিবির। মাত্র তিনটি শট আসে লাল-হলুদ ফুটবলারদের বুট থেকে। লাগাতার আক্রমণে উঠে আসা হায়দরাবাদ এফসি প্রথমার্ধে ৬টি কর্ণার অর্জন করতে সক্ষম হয়। সে নিরিখে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভান্ডার শূন্য থাকে। ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সেহনাজ সিংয়ের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। আরিদানে সান্টানার স্পট কিক বাঁচিয়ে কামাল করে দেন লাল-হলুদের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় হায়দরাবাদ এফসি। খেলার গতি ধরতে ব্যর্থ হয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫৬ মিনিটে দুর্দান্ত সেটপিস থেকে গোল দিয়ে হায়দরাবাদের হয়ে গোল শোধ দেন অধিনায়ক আরিদানে সান্টানা। পর মুহূর্তেই লাল-হলুদ ডিফেন্সের ভুলে নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল দেন আরিদানে। ৬৮ মিনিটে জয়ী দলের হয়ে তৃতীয় গোল দেন হালিচারাণ নার্জারি। ৮১ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এক গোল শোধ দেন জ্যাকুয়াস মাঘোমা। তাতে কাজের কাজ হয়নি।
ম্যাচে ৫২ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ থাকে এসসি ইস্টবঙ্গলের ঝুলিতে। ৪৮ শতাংশ বলের দখল থাকে হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে। তিলক ময়দানে ৩৮০টি পাস খেলেও ম্যাচ জিততে পারেনি রবি ফাওলারের দল। ম্যাচে সাতটি কর্ণার পায় জয়ী দল। একটি কর্ণার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।