আইএসএল ২০১৮-১৯, এই মরসুমে কেমন দল হল এফসি পুনে সিটির, জেনে নিন তাদের শক্তি ও দুর্বলতা
জেনে নিন আইএসএল ২০১৮-১৯ মরসুমে, এফসি পুনে সিটির কোচ, নতুন সাইনিং, উল্লেখযোগ্য সাইনিং এবং শক্তি ও দুর্বলতা সঙ্গে সম্পূর্ণ স্কোয়াড সম্পর্কে।
গত মপসুমে প্লেঅফে উঠেও ট্রফি জিততে পারেনি এফসি পুনে সিটি। তাদের গতবারের সাফল্য এবারেরও ধরে রাখতে চাইছে দলটি।
পুনেতে ফুটবলের দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও এখনও এই শহর থেকে কোন দল কখনও ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) বা আই-লিগ জিততে পারেনি। ২০১৮-১৯ মরসুমে, অরেঞ্জ আর্মি সেই ইতিহাসটা পাল্টাতে চায়। বুধবার দিল্লিতে দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাদের অভিযান শুরু হচ্ছে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক এবার তারা কীরকম দল গড়ল। কোথায় তাদের শক্তি, কোথায়ই বা দুর্বলতা।
|
কোচ
স্প্যানিশ কোচ মিগেল অ্যাঙ্খেল পর্তুগাল দিল্লি ডায়নামোস থেকে এই মরসুমে যোগ দিয়েছেন এফসি পুনে সিটিতে। বিশাল অভিজ্ঞতার ভান্ডার নিয়ে এলেও ভারতীয় ফুটবলের তাঁর প্রথম বছরটি মোটেই ভাল যায়নি। তাঁর কোচিংয়ে দিল্লি অষ্টম স্থানে শেষ করেছিল। তাঁর উপরই পুনে তাদের গতবারের পারফরম্যান্সকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভরসা করেছে। বল পজেশন-ভিত্তিক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে ভালবাসেন পর্তুগাল। কাজেই পুণের একঝাঁক ভাল মানের আক্রমণাত্বক খেলোয়াড়দের তিনি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারবেন, এমনটা মনে করা হচ্ছে।
|
নতুন সাইনিং
ভারতীয়: কিনান আলমেইদা, আশুতোষ মেহতা, শঙ্কর সাম্পিনগিরাজ, অলউইন জর্জ, নিখিল পূজারী, গ্যাব্রিয়েল ফার্নান্দেজ, রবিন সিং।
বিদেশী খেলোয়াড়: ম্যাট মিলস, মার্টিন দিয়াজ, জোনাথন ভিলা, ইয়ান হিউম।
|
উল্লেখযোগ্য সাইনিং
এই মরসুমে এফসি পুনে সিটি চারজন নতুন বিদেশীকে সই করিয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ম্যাট মিলস, ইয়ান হিউম এবং জোনাথন ভিলা। মিলস-এর লেস্টার সিটি, নটিংহ্যাম ফরেস্টের মতো ইপিএল-এর বড় ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া পুনে এবার দলে নিয়েছে আইএসএল-এর ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করা ইয়ান হিউমকে। তবে তাঁর চোট রয়েছে বলে মরসুমের প্রথমার্ধে তিনি খেলতে পারবেন না।
এবার পুনে সিটিতে খেলতে আসা ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্ট্রাইকার রবিন সিং এবং উইঙ্গার নিখিল পূজারি।
|
শক্তি এবং দুর্বলতা
খাতায় কলমে এবারের আইএসএল-এর সেরা আক্রমণ বিভাগ রয়েছে এফসি পুনে সিটির হাতে। আগেই তাদের দলে ছিলেন মার্সেলিনহো, এমিলিয়ানো আলফারো, আশিক কুরুনিয়ান এবং দিয়েগো কার্লোসের মতো খেলোয়াড়। এবার তার সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে, ইয়ান হিউম, রবিন সিং এবং নিখিল পূজারি।
উইংস-এও পুনের হাতে দারুণ সব বিকল্প রয়েছে। দিয়েগো কার্লোস, কুরুনিয়ান, নিখিল পুজারি, মার্সেলিনহো, গ্যাব্রিয়েল ফার্নান্দেজ প্রত্যেকেই গতিতে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার ক্ষমতা রাখেন। কাজেই পুণের প্রতি-আক্রমণ এবার বিপক্ষ দলগুলির ঘুম কেড়ে নিতে পারে।
তবে কিছুটা হলেো তাদের দুর্বলতা রয়েছে রক্ষণ বিভাগে। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে কোনও বড় ভারতীয় নাম নেই। তবে ফুল ব্যাকে থাকছেন সার্থক গোলুই ও সাহিল পানওয়ার। গত মরসুমে তাঁরা বেশ ভাল খেলেছিলেন। এবার তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
|
সম্পূর্ণ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: অনুজ কুমার, কমলজিত সিং, বিশাল কাইথ
ডিফেন্ডার: আশুতোষ মেহতা, গুরতেজ সিং, লালচুয়ানমাওয়িয়া ফানাই, মার্টিন দিয়াজ, ম্যাট মিলস, নিম দোর্জে তামাং, সাহিল পানওয়ার, সার্থক গলুই,
মিডফিল্ডার: মার্কো স্ট্যানকোভিচ, অলউইন জর্জ, রোহিত কুমার, আদিল খান, শঙ্কর সাম্পিঙ্গিরাজ, জোনাথন ভিলা
ফরোয়ার্ড: মার্সেলিনহো, এমিলিয়ানো আলফারো, আশিক কুরুনিয়ান, রবিন সিং, গ্যাব্রিয়েল ফার্নান্দেজ, জ্যাকব ভানলালহিমপুইয়া, দিয়েগো কার্লোস, নিখিল পূজারী