আজ শুরু আইএসএল, জেনে নিন ২০১৮-১৯ মরসুমে কেমন দল হল কেরল ব্লাস্টার্স-এর
জেনে নিন আইএসএল ২০১৮-১৯ মরসুমে, কেরল ব্লাস্টার্স-এর কোচ, নতুন সাইনিং, উল্লেখযোগ্য সাইনিং এবং শক্তি ও দুর্বলতা সঙ্গে সম্পূর্ণ স্কোয়াড সম্পর্কে।
শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে আইএসএল ২০১৮-১৯ মরসুম। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কেরল ব্লাস্টার্স খেলবে এটিকের বিরুদ্ধে। দুই-দুইবার ট্রফি জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও কাপ জিততে পারেনি দক্ষিণের রাজ্যের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত মরসুমে ১০ দলের লিগে তারা শেষ করেছিল ষষ্ঠ স্থানে।
নয়া মরসুম শুরুর আগে দেখে কীভাবে এবার ট্রফি ঘরে তোলার কথা ভাবছে তারা।
আনফ্রিডম
এবছর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও 'লেসবিয়ান' বা সমকামী প্রেমীদের গল্প ও ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাসবাদ নিয়েও বক্তব্য রাখা সিনেমাটিকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
কোচ
গত মরসুমের মাঝামাঝি সময়ে কেরল ব্লাস্টার্স-এর কোচিং-এর দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডেভিড জেমস। এবার ট্রফিখরা কাটাতে তাঁকেই প্রধান কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে। এইবার এই লিভারপুল ও ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের প্রাক্তনী নিজেই বেচে নিয়েছএন দল। কাজেই এবার তাঁর থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা রয়েছে ব্লাস্টার্স-এর সমর্থকদের।
ডেজড ইন দুন
রত্না পাঠক শাহের পরিচালনায় তৈরি ২০১০ সালের এই ছবিটি দুন স্কুলে পড়া একটি ছেলের গল্প। ছবিটি নিয়ে দুন স্কুল আপত্তি জানালে তার মুক্তি আটকে যায়।
নতুন সাইনিং
ভারতীয়: ধীরাজ সিং, নবীন কুমার, আব্দুল হাক্কু, আনাস এদাথোড়িকা, জাকির মুন্ডাম্পারা, সেমিনলেন ডনজেল, হোলিচরণ নার্জারি, জিতিন এমএস।
বিদেশী: সিরিল কালি, মাতেজ পপ্লাতনিক, স্লাভিসা স্টোজানোভিচ, নিকোলা ক্র্যাকমারেভিচ।
ইনশাল্লাহ ফুটবল
২০১০ সালের এই ছবিটিতে একটি কাশ্মীরি কিশোরের কথা বলা হয়েছে যার পিতা বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিযুক্ত। পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে ছেলেটির উপর কীভাবে আঘাত নেমে আসে তা দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়।
উল্লেখযোগ্য সাইনিং
কোচির এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্কোয়াডে এই মরসুমে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন ঘটেছে। দলের শক্তি বাড়াতে চার নতুন বিদেশীকে নেওয়া হয়েছে - ডিফেন্ডার সিরিল কালি, মিডফিল্ডার নিকোলা ক্র্যাকমারেভিচ ও স্ট্রাইকার জুটি মাতেজ পপ্লাতনিক, স্লাভিসা স্টোজানোভিচ। স্লোভেনিয়ার ক্লাব ত্রিগ্লাভ ক্রাঞ্জ দলের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন পপ্লাতনিক। তিনিই কেরলের দলটির আক্রমণ বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ধীরাজ সিং ও নবীন কুমারের যোগদানে নিঃসন্দেহে দলের গোলরক্ষা বিভাগের শক্তি বেড়েছে। এছাড়া হোলিচরণ নার্জারি ও সেমিনলেন ডনজেল-এর মতো ভাল মানের উইঙ্গারকে নিয়েছে তারা। জিতিন এমএস-ও সন্তোষ ট্রফিতে কেরলের হয়ে খুবই ভাল খেলেছেন। সেই সঙ্গে দলে এসেছেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আনাস।
গান্ডু
২০১০ সালের এই বাংলা সিনেমাটি বহু বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নগ্ন দৃশ্যের পাশাপাশি সিনেমার কয়েকটি সিনে 'ওরাল সেক্স' দেখানো হয়েছে, ফলে মুক্তি পায়নি ছবিটি।
শক্তি এবং দুর্বলতা
এবার কেরালার ডিফেন্সে আছেন ভারতের জাতীয় দলের ডিফেন্স জুটি সন্দেশ ঝিঙ্গন ও আনাস এদাথোড়িকা। তাদের সঙ্গে থাকছেন লালরুয়াত্থারা ও সিরিল কালি, নেমাঞ্জা লাকিচের মতো বিদেশীরা। কাজেই বলাই বাহুল্য ডেভিড জেমস-এর দলের সেরা শক্তি তাদের ডিফেন্স। তবে ফুল ব্যাক পজিশনে খেলার মতো ফুটবলারের অভাব রয়েছে।
তবে তাদের মিডফিল্ডে অভিজ্ঞতা ও সৃষ্টিসীলতার অভাব রয়েছে। বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে মিডফিল্ডে। কিন্তু ভারতের নামী কোনও মিডফিল্ডার দলে নেই। গত বছরও কিন্তু সৃষ্টিসীল মিডফিল্ডারের অভাবে ডিফেন্স ও ফরোয়ার্ড লাইনের মধ্যে বার বার যোগাযোগের সমস্যায় ভুগেছে কেরল। এবারও সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তারা।
ফিরাক
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ২০০৮ সালে তৈরি এই ছবিটি মুক্তি আটকে দেয় সেন্সর বোর্ড। পরে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে মুক্তি পায় ছবিটি।
সম্পূর্ণ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: ধীরাজ সিং, নবীন কুমার, সুজিত সসিকুমার
ডিফেন্ডার: আনাস এদাথোড়িকা, সিরিল কালি, লালরুয়াথ্থারা, মহম্মদ রাকিপ, নিমেঞ্জা লেকিচ-পেসিচ, সন্দেশ ঝিঙ্গান, প্রীতম সিং
মিডফিল্ডার: লোকেন মেইতেই, সাহাল আব্দুল সামাদ, কিজিতো কেজিরন, দীপেন্দ্র নেগি, জাকির মুন্ডাম্পারা, নিকোলা ক্রামারেভিচ, হৃষি ধথ, কারেজ পেকুসন, হোলিচরণ নার্জারি, প্রশান্ত কে, সূরয রাওয়াত, সেইমিনলেন ডনজেল
ফরোয়ার্ড: সি কে বিনীথ, মাতেজ পপ্লাতনিক, স্লাভিসা স্টোজানোভিচ
ওয়াটার
পরিচালক দীপা মেহতার সিনেমা 'ওয়াটার'-এর মুক্তি আটকে দেয় সেন্সর বোর্ড। নারী বিদ্বেষ ও সমাজ থেকে গণভোটে বহিঃষ্কার, এই বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়েই তৈরি এই সিনেমায় অভিনয় করেন জন আব্রাহাম ও লিসা রায়।
পরজানিয়া
গুজরাত দাঙ্গায় হারিয়ে যাওয়া বালক 'আজহার'-কে নিয়ে গড়ে ওঠা এই সিনেমাটিও দিনের আলো দেখেনি।
সিনস
কেরলের এর যাজক এক মহিলার প্রেমে পড়েন ও তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়, এই গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা 'সিনস' নিয়ে সারা দেশে ক্য়াথলিক সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষোভ দেখান। সিনেমায় যৌন দৃশ্য মাত্রা ছাড়ানোও তার ছাড়পত্র আটকে দেয় সেন্সর বোর্ডও।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে
১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের উপর তৈরি অনুরাগ কাশ্যপের এই সিনেমাটির মুক্তি আটকে যায় ২০০৩ সালে। এখনও এই নিয়ে মামলা চলায় ছবিটি মুক্তি পায়নি।
পাঁচ
ফের আর একটি অনুরাগ কাশ্যপের সিনেমা সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি। যোশী অভয়ঙ্করের 'সিরিয়াল মার্ডার' ঘটনাটি নিয়ে ২০০৩ সালে এই ছবিটি বানান অনুরাগ।
দ্য পিঙ্ক মিরর
বিদেশের বহু ফিল্ম ফেস্টিফ্যালে সমাদৃত এই সিনেমাটি ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামী পুরুষদের গল্প নিয়ে তৈরি। দেশে এই সিনেমা মুক্তি পায়নি।
উরফ প্রফেসর
শরমন যোশী, অন্তরা মালি অভিনীত এই সিনেমাটিতে উত্তেজক দৃশ্য ও অশ্লীল ডায়লগ থাকায় তা মুক্তি পায়নি।
কামসূত্র
মীরা নায়ারের পরিচালনায় তৈরি ১৯৯৬ সালের এই সিনেমাটির গল্প ষোড়শ শতকের। যৌন দৃশ্যে ভরপুর এই সিনেমা দেশের কোনও হলে মুক্তি পায়নি।
ফায়ার
হিন্দু পরিবারে দুই জা'য়ের মধ্যে গড়ে ওঠা সমকামী সম্পর্ক নিয়ে তৈরি দীপা মেহতার এই সিনেমা নিয়ে তীব্র বিতর্ক বাঁধায় শিবসেনা। পরে সিনেমাটি ব্য়ান করে দেওয়া হয়।
ব্যানডিট কুইন
১৯৯৪ সালে তৈরি শেখর কাপুরের এই সিনেমা ডাকাতরানি ফুলনদেবীর জীবনের উপর নির্দেশিত। যৌন দৃশ্য ও অশ্লীল ডায়লগ থাকায় তার মুক্তি আটকে দেয় সেন্সর বোর্ড।